যুগভেরী ডেস্ক :::
দীর্ঘ ৮ বছরের সম্পর্ক ছিলো জায়দুল আর মোহনার। দুজনের প্রেমের বড় বাধা ছিলো বংশ পরিচয়। মোহনা ছিলো খান বংশের মেয়ে। অপরদিকে জায়দুল নিতান্তই মধ্যবিত্ত মৎসজীবি বংশের ছেলে। কথায় বলে, প্রেম মানেনা জাতীকূল। আর সেটিই হয়েছে জায়দুল আর মোহনার বেলায়। জায়দুল হক বিয়ানীবাজার উপজেলার খশির গ্রামের বাসিন্দা হলেও কাজ করতো বিয়ানীবাজারের জামাল প্লাজায় ‘কয়ছর বস্ত্র’ বিতান নামীয় কাপড়ের দোকানে। এখান থেকেই ৮ বছর আগে পরিচয় দুজনার। প্রথমে কথাবার্তা পরে মন দেওয়া নেওয়া। দুজনেই একে অপরকে মনে প্রাণে ভালোবাসতো। সেই ভালোবাসায় দেয়াল হয়ে দাড়ান বিয়ানীবাজার উপজেলার মাতিউড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং বর্তমান বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহনার পিতা আতাউর রহমান খান। তিনি জাত আর বংশের কারণে দুজনের ভালোবাসা মেনে নেননি। সর্বশেষ ২০১৬ ইং সালের ১০ সেপ্টেম্বর রাতে আতাউর রহমান খানের নির্দেশে জায়দুল হকের উপর চালানো হয় হামলা। আহত জায়দুলকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জায়দুল সাংবাদিকদের জানান, তিনি কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নোয়াবাজার এলাকায় পৌছামাত্র দুটি মোটর সাইকেলে করে কয়েকজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তার পথ আটকিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে বিয়ানীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় জায়দুলের পিতা আজিজুর রহমান বিয়ানীবাজার থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে লিখিত অভিযোগ দিলেও থানা পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড না করে সাধারণ ডায়েরী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেছে। জায়দুল আরো বলেন, আমার ভালোবাসাই ছিলো আমার বড় অপরাধ। ভালোবাসার কারণে তাকে মোহনার পিতা হত্যা করতে চাইছিলেন।