বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার কাজিরবাজারে ‘আবিদা ভেরাইটিজ স্টোর’ নামক দোকান থেকে ৪টি ৫শ টাকার জালনোটসহ আটক করা হয়েছে ২ জনকে। গতকাল রাত ৮টার দিকে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ দোকানে অভিযান চালিয়ে জাল টাকা উদ্ধার করে এবং দোকানের স্বত্বাধিকারী ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের সাখাওয়াত আলীর দুই পুত্র আব্দুল আলীম ও আব্দুল হান্নানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে দুই ভাইকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ৮টার দিকে স্থানীয় মেম্বার আওয়ামীলীগ নেতা সরফ উদ্দীন ও থানা পুলিশের একটি দল বিয়ানীবাজারস্থ কাজিরবাজারে সাখাওয়াত আলীর মালিকানাধীন ‘আবিদা ভেরাইটিজ স্টোর’ নামক দোকানে আসেন। দোকানে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ সাখাওয়াত আলীর দুই পুত্র আব্দুল আলীম ও আব্দুল হান্নানকে জাল টাকাসহ আটক করে। পুলিশ জানায়, তল্লাশী চালিয়ে দোকানের ক্যাশ থেকে ৪টি ৫শ টাকার জালনোট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আব্দুল আলিম দাবি করেন যে, দোকানের ক্রেতা ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া টাকা গুলো তাদেরকে দিয়েছেন। তারা নিজেদেরকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। পুলিশ বলছে, জাল টাকার ব্যবসার সাথে জড়িত এরা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সাখাওয়াত আলী অভিযোগ করেন, পুলিশ তাদের কোনো কথা শুনতে চাচ্ছে না। পূর্ব শত্রুতার জেরে স্থানীয় সরফ মেম্বার ও তার ভাই ছাত্রলীগ নেতা কাউসার ষড়যন্ত্র করে তার পুত্রদেরকে ফাসিয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া গতকাল সন্ধ্যায় তাদের দোকান থেকে মালামাল কিনে ঐ জাল টাকাগুলো দেন। বিষয়টি সাথে সাথে সরফ মেম্বারকে অবগত করলে তিনি ছাত্রলীগ নেতাকে কিছু না বলে উল্টো পুলিশ নিয়ে দোকানে আসেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সরফ মেম্বারের প্ররোচনায় পুলিশ উক্ত জাল টাকাসহ আমার দুই পুত্রকে আটক করে এবং মামলা দায়ের করে। তিনি আরও জানান, সরফ মেম্বার তার প্রতিবেশী। দোকান বাকী রয়েছে তার কাছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। ঐ টাকা চাইতে গেলে তিনি টাকা না দিয়ে উল্টো দেখে নিবেন বলে ধামকি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি আমার সন্তানদের জীবন বিপন্ন করতে পরিকল্পিতভাবে আমার দুই ছেলেকে জাল নোট দিয়ে ফাসিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা