মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার রাজনগরেরর কেশরপাড়া গ্রামের বিএনপি নেতা ব্যবসায়ী রানা মিয়া হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল নিহতের স্ত্রী দিলারা বেগম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে রাজনগর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত সবাই স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমদ। তিনি জানান, এখনও কোন আসামীকে আটক করা যায়নি। তবে আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চলমান রয়েছে। মামলার আসামীরা হলেন- রাজনগর থানার কেশরপাড়া গ্রামের মৃত আত্তর আলীর পুত্র মফিজ মিয়া, একই গ্রামের মৃত আকলুছ মিয়ার পুত্র আনকার মিয়া, একই গ্রামের আলী আহমদের পুত্র মান্নান মিয়া, টিলাগাও গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের পুত্র লেদু মিয়া ও একই গ্রামের করিম মিয়ার পুত্র ইলান মিয়া।
উল্লেখ্য, গত ১৫ অক্টোবর দিবাগত রাত আনুমানিক ২ ট৩ার দিকে কয়েকজন সন্ত্রাসী দরজা ভেঙ্গে রানা মিয়ার ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে রানা মিয়ার স্ত্রী দিলারা বেগম ও পুত্র মামুন মিয়াসহ পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। তখন সন্ত্রাসীরা স্ত্রী ও পুত্রের চোখের সামনে রানা মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ সকালে এসে রানা মিয়ার লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত শেষে গত ১৬ অক্টোবর রানা মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় গতকাল ১৭ অক্টোবর রানা মিয়ার স্ত্রী দিালারা বেগম উক্ত মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় ও পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, রানা মিয়া রাজনগর থানার উত্তরভাগ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মৎস্য ব্যবসায়ি ছিলেন। স্থানীয় বিভিন্ন বিল ও জলাশয় তিনি চুক্তিভিত্তিক খরিদ করে তার ব্যবসা চালাতেন। বিলে মাছ ধরা নিয়ে বিরোধ ও রাজনৈতিক মথপার্থ্যকের কারণে আসামীদের সাথে তার পূর্ব শত্রুতামি ছিল। এরই জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্ত্রী দিলারা বেগম।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা