নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাতকে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দু'পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমদ নিহত হন৷ তিনি দক্ষিণ কুর্শি গ্রামের শফিক মেম্বারের পুত্র। এ ঘটনায় শফিক মেম্বার বাদী হয়ে ছাতক থানায় ১০ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার ৪ নং আসামী ফারুক মিয়াকে আটক করেছে। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন- শরিষপুর গ্রামের আফতাব উদ্দিনের পুত্র সাহাব উদ্দিন, ছৈলা গ্রামের জমির আলীর পুত্র তাজুল ইসলাম, দক্ষিণ কুর্শি গ্রামের ফারুক মিয়ার পুত্র মো. মিনহাজুল ইসলাম, চেলারচর গ্রামের আব্দুল খালিকের পুত্র আমিনুর রহমান ও মুহিবুর রহমান, খুরমা গ্রামের আব্দুশ শহিদের পুত্র কুহিনুর মিয়া, পালপুর গ্রামের সোয়াব আলী মির্জার পুত্র মতি মির্জা, গোবিন্দগঞ্জ এলাকার আরিফ মিয়ার পুত্র সোহেল রানা ও মইনপুর গ্রামের শুকুর মিয়ার পুত্র জামাল মিয়া।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ছাতকের পৌর পয়েন্টে গতকাল বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে ব্যাপক সংঘর্ষ ও গুলাগুলির ঘটনা ঘটে। গতকাল বিকেলে স্থানীয় সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক সমর্থিত ছাত্রলীগ গ্রুপ ও মাহতাব গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ বাঁধে। জানা যায়, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মঞ্চে আসন নিয়ে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে দুই ছাত্রলীগ নেতার পক্ষ নিয়ে অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করে। ঘন্টাখানেক পর পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ততক্ষণে সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক সমর্থিত ছাত্রলীগ নেতা শামীম গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাইদ জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। খুব সাবধানতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা চলছে। ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় ছাতক থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অন্যান্যদের ধরতে পুলিশ সম্ভাব্য স্থানসমূহে অভিযান চালাচ্ছে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা