দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি : সিলেট জেলা ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন রিপন হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শনিবার সকালে নিহতের স্ত্রী ফারজানা আক্তার তমা দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন ওসি খায়রুল ফজল। ওসি বলেন, মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো পাঁচ-সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা নং-০৯, তারিখ: ১১/০৭/২০ ইং। ১৪৩, ৩০২, ৩২৬, ৩০৭ ও ১১৪ পেনাল কোডে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। আসামীরা হলেন- বরইকান্দি গ্রামের ফরিদের ছেলে ইজাজুল, ফারুক মিয়ার ছেলে রিমু, আব্দুল করিমের ছেলে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের ২৫ নং ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মান্না, মৃত আসদ্দর আলীর ছেলে মোস্তফা, মৃত বশির মিয়ার ছেলে মিন্টু, লিলু মিয়ার ছেলে সেবুল, চান মিয়ার ছেলে কাইয়ুম, ফারুক মিয়ার ছেলে বদরুল, মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে ইসমাইল, বরইকান্দি গ্রামের মৃত কবির মিয়ার ছেলে নোমান, রেলওয়ের সিলেট বিভাগীয় প্রকৌশলী আকবর হোসেন মজুমদার, বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগ নেতা ও রেলস্টেশনের সিনিয়র কর্মকর্তা মতিন ভুঁইয়া ও রেলওয়ের ওয়ার্কার সুপারভাইজার শহিদুল হক। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় পূর্ব বিরোধের জের দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্টে ইকবাল হোসেন রিপনকে (৪০) কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি দক্ষিণ সুরমার খোজারখলার আবুল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাত ১১টা থেকে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার সকাল থেকে সিলেটের সবগুলো সড়কের প্রবেশমুখে অবরোধ করে রাখেন শ্রমিকরা। পরে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন। ইতোমধ্যে হত্যাকা-ে জড়িত স্থানীয় বরইকান্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা নোমান আহমদ সহ ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল ।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা