নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকির মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আশফাক রাজীব হায়দার। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর এ বিষয়ে শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন।
গত রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
রোববার রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও সোমবার ভোরে ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ ৭ জনকে আসামি করে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খান বাদি হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।
এ মামলায় সোমবার দুপুরে ইরফানকে গ্রেফতার করে র্যাব। এছাড়া তার পুরান ঢাকার বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, গুলিসহ একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়।
বাসায় বিদেশি মদ ও অনুমোদনহীন ওয়াকিটকি রাখায় কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদকে এক বছর করে জেল দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সোমবার হাজী সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানের এক দিন ও মঙ্গলবার ইরফানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবি সিদ্দিকী দিপুর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ঢাকা, ২৮ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) :
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা