সামিয়ান হাসান, বিয়ানীবাজার ::::
প্রবাসী অধ্যুষিত বিয়ানীবাজারে দিন দিন ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। আক্রান্তদের পাশাপাশি এ উপজেলায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এ পরিস্থিতিতেও এ উপজেলায় মানুষের মধ্যে সচেতনতার কোন লক্ষন নেই। আর এ কারণেই শীত আগমনের সাথে সাথেই প্রতি সপ্তাহে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
গত এক সপ্তাহে এ উপজেলায় ১০ জনের শরীরের করোনা ভাইরাসের অস্থিত্ব শনাক্ত হয়েছে। তাছাড়া নতুন করে প্রাণহানির তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও এক বৃদ্ধ। বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর রাত থেকে ৭ নভেম্বর রাত পর্যন্ত বিয়ানীবাজারে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪১২ জনে। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৩ জন। অন্যদিকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৭২জন। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাবে চলতি শীত মৌসুমে পুরো উপজেলা জুড়ে সংক্রমণ পুনরায় বাড়ছে। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরে দায়িত্বশীলরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে জীবনযাত্রা স্বাভাবিকভাবে চলছে। রাস্তায় মানুষের ঢল আর যানজট অনেকটা আগের মতোই। খুব কম মানুষ মাস্ক পরে রাস্তায় বের হচ্ছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার বিষয়টি গুরুত্ব হারিয়েছে। কাঁচাবাজার ও শপিংমল শুধু নয়, অফিস ও ব্যাংকগুলোতেও পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা যাচ্ছে না সাধারণ মানুষকে। লোকজন অনেকটা বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে চলাফেরা করছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সরকারি কোন উদ্যোগ না থাকায় মানুষ সাধারণভাবে জীবনযাপন করছে ।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম আলী খান বলেন, শীত আসার সাথে সাথেই এ উপজেলায় সংক্রমনের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু সেই তুলনায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা লক্ষ করা যাচ্ছে না। আমরা ইতিমধ্যে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। তারপরও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে না।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা