আনোয়ার হোসেন আনা, ওসমানীনগর থেকে ::
সিলেটের ওসমানীনগরের চাতলপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া বেগম এবং তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র তার ভাই জগলু মিয়া। ভাই বোন শারীরিক প্রতিবন্ধি হওয়ায় ঠিক মতো হাটাচলা করতে পারে না। এমন অবস্থায় বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যা পোহাতে হয় মা সুনেছা বেগমকে। গতকাল সোমবার তারা সরকারিভাবে হুইল চেয়ার পেয়েছে। এখন থেকে তারা হুইল চেয়ারে বসেই স্কুলে আসতে পারবে ভেবে খুবই আনন্দিত। শুধু তারা নয়, তাদের মতো আরো ৫জন শিশু শিক্ষার্থীকে হুইল চেয়ার এবং ১জনকে চোখের চশমা প্রদান করা হয়েছে। এই চেয়ার ও চশমা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন অভিভাবক ও শিক্ষকরা।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪ এর আওতায় ওসমানীনগরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ৭জন শারীরিক প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীকে হুইল চেয়ার ও ১জনকে চশমা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কাছে এগুলো তুলে দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ময়নুল হক চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাহমিনা আক্তার, ভাইস চেয়ারম্যান গয়াছ মিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুসলিমা আক্তার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফরিদ মো. নিয়ামত উল্লাহ, সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সানাউল হক সানি প্রমূখ।
অভিভাবক সুনেছা বেগম বলেন, গরীব হওয়ায় শিশুদের হুইল চেয়ার কিনে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। সরকারি ভাবে দুটি চেয়ার পেয়ে আমি এবং আমার সন্তানরা খুবই আনন্দিত হয়েছি।
চাতলপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সীমা কর বলেন, হুইল চেয়ারগুলো প্রতিবন্ধি শিশুদের শিক্ষা গ্রহণের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা সানাউল হক সানি বলেন, পিডিপি-৪ এর আওতায় শিশুদের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে চেয়ার গুলো প্রধান করা হয়েছে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা