• ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আইনজীবী সমিতির সংবাদ সম্মেলন

Daily Jugabheri
প্রকাশিত নভেম্বর ২৪, ২০২০
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আইনজীবী সমিতির সংবাদ সম্মেলন

বিন্দু তালুকদার, সুনামগঞ্জ :::
সুনামগঞ্জে নতুন নির্মাণ করা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনে যাওয়ার রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে গাড়ি রাখার গ্যারেজ নির্মাণের অভিযোগ করেছেন আইনজীবী সমিতি পক্ষ থেকে। নতুন ভবনে যাওয়ার রাস্তায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ এই গ্যারেজ নির্মাণ করেছেন বলে আইনজীবী সমিতির অভিযোগ।
আদালতের নতুন ভবনে যাওয়ার রাস্তাটি জেলা প্রশাসকের ভবনের সামনের রাস্তা দিয়েই বলে দাবি করেছেন আইনজীবীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সুনামগঞ্জে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একটি ভবনেই শুরু থেকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন সময় আইনজীবীরা আদালতের জন্য আলাদা ভবন নির্মাণের দাবি জানান। এরপর ২০১৬ সালে ১০তলা এই ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পাশেই নির্মাণ হচ্ছে। ভবনে যাওয়ার রাস্তায় নকশায় উল্লেখ আছে। কিন্তু গত বছর নকশায় থাকা রাস্তার উপর একটি সরকারি গোদাম নির্মাণের কাজ শুরু হয়। আইনজীবীরা বাধা দেন। এরপর আদালতে এ নিয়ে একটি মামলা হলে আদালন সেখানে স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। এখন আবার সেখানে গাড়ির গ্যারেজ নির্মাণ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার জেলা আইনজীবী সমিতির জরুরি সাধারণ সভা হয়েছে। এতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদকে সুনামগঞ্জ থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলা দায়ের, তিনি বিভিন্ন চিঠিতে আইনজীবী সমিতিকে নিয়ে কটাক্য করায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস প্রদান, বিষয়টি প্রধান বিচারপতি, পরিকল্পনামন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, জনপ্রশাসনমন্ত্রীসহ সুনামগঞ্জের সব এমপিদের অবহিত করার সিন্ধান্ত হয়। আজ বুধবার সমিতি ভবনের সামনের সড়কে আইনজীবীরা মানববন্ধন করবে।
সংবাদ সম্মেলনের জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. আপ্তাব উদ্দিন বলেন,‘এই আদালত ভবন যেমন আইনজীবীরা ব্যবহার করবে, তেমনি জেলার বিচারপ্রার্থী জনগণও ব্যবহার করবে। আমরা বুঝতে পারছি না ডিসি সাহেব কেন রাস্তায় বাধা দিচ্ছেন। এটাতো ভবন নির্মাণের সময়ই নকশা করা।
সংবাদ সম্মেলনের আরও বক্তব্য রাখেন আইনজীবী বজলুল মজিদ চৌধুরী, রবিউল লেইস, সৈয়দ শামসুল ইসলাম, মল্লিক মইন উদ্দিন মো. সোহেল।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ বলেন,‘ এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয় নয়। এ নিয়ে আমি বিজ্ঞ আইনজীবীদের সঙ্গে একাধিবার কথা বলেছি। কিন্তু সমাধান হয়নি। আমি কখনোই কাউকে অপমান করিনি। ভবনে যাওয়ার রাস্তার নকশায় পরিবর্তন করে করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সীমানাপ্রচীর অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অথচ আমরা এসবের কিছুই জানি না। আমি আমার দায়িত্ব থেকে সার্বিক বিষয় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগকে অবহিত করেছি। এখন সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সেটাই হবে। এখানে কারো সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই।’

সংবাদটি শেয়ার করুন