যুগভেরী ডেস্ক ::::
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ৬৬৬ জন।
রোববার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৬৬৬ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫৪৫ জন হল।
আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ৩১ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ৮৩৮ জনে দাঁড়াল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ৫৫২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৯৬০ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে ৪ লাখ পেরিয়ে যায় ২৪ নভেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৬ নভেম্বর তা সাড়ে ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৬তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩২তম অবস্থানে।
বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৬ কোটি ৬৫ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৫ লাখ ২৮ হাজার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১২টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ১৫টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ১০টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৩৭টি ল্যাবে ১৩ হাজার ২১৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৮ লাখ ৬৩ হাজার ১৬৯টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮২ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২২ লাখ ৯১ হাজার ৬১০টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৫ লাখ ৭১ হাজার ৫৫৯টি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ আর নারী ৭ জন। তাদের মধ্যে ৩০ জন হাসপাতালে ও ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ২১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১৮ জন ঢাকা বিভাগের, ৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন করে মোট ৮ জন বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ২ জন রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৬ হাজার ৮৩৮ জনের মধ্যে ৫ হাজার ২৩১ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৬০৭ জন নারী।
তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৬৬০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজা ৭৬৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮২০ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৫০ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৫৩ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৩ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ৩ হাজার ৬৯৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ২৭৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪১৩ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫০২ জন খুলনা বিভাগের, ২২৬ জন বরিশাল বিভাগের, ২৭০ জন সিলেট বিভাগের, ৩১১ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৪৬ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা