যুগভেরী ডেস্ক ::: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য, সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি সিলেটপোষ্টের এর নির্বাহী সম্পাদক শেখ মো. লুৎফুর রহমানের কাছ থেকে লাখ টাকার বেশি টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে ছিনতাইকারিরা।
এঘটনায় সাংবাদিক শেখ মো. লুৎফুর রহমান বাদী হয়ে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে বাবুল মিয়াকে প্রধান আসামী করে জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক শেখ মো. লুৎফুর রহমান উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের মিঠাভরাং গ্রামের শেখ মো. মনির উল্লাহ ছেলে। পেশাগত কাজের জন্য তিনি সিলেটে বসবাস করছেন। তবে গ্রামের বাড়িতে পাকা ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। সেজন্য প্রায় সময় তাঁকে গ্রামের বাড়িতে আসা–যাওয়া করতে হয়। গত সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শ্রমিকদের টাকা দেওয়ার জন্য সর্বমোট ১,০৫,০০৫১ – টাকা নিয়ে সিলেট শহর হতে বারির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে জগন্নাথপুর থানাধীন জয়দা গ্রাম পায়ে হেটে বাড়িতে যাওয়ার সময় মিঠাভরাং গ্রামের কাচা রাস্তার উপর পৌঁছামাত্র পুর্ব হইতে ওৎপেতে থাকা উল্লেখিত বাবুল মিয়া সহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন ধারালো দা , ডেগার, ছাকু ইত্যাদি দেশীয় তৈরী অস্ত্রসস্ত্র দেখিয়ে তাঁকে ভয়ভীতি জোরপূর্বক সাথে থাকা নগদ অর্থ ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এসময় ছিনতাইকারিদের হাতে সাংবাদিক শেখ মো. লুৎফুর রহমান আহত হন।
সাংবাদিক শেখ মো. লুৎফুর রহমান জানান, পাশ^বর্তী গ্রামের বাবুল মিয়া এলাকায় সকল প্রকার কু–কর্ম করে বেড়ায় , এতে এলাকার লোকজন অতিষ্ট হয়ে আমার পিতা এলাকার প্রবীন মুরুব্বি হওয়ার কারণে বিচারপ্রার্থী হন। এলাকার লোকজনদের বিচারপ্রার্থীতে আমার পিতা মুরুব্বি হিসাবে একাধিকবার বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে বিচার বৈঠক করেন। আমার পিতা বিচার বৈঠকে সালিশ হওয়া কারণে বাবুল মিয়া আমার পিতা সহ পরিবারে সকলের উপর ক্ষীপ্ত হয়ে আমাদের ক্ষতি সাধনের জন্য এই কাজটি করেছে। বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা