যুগভেরী ডেস্ক ::: সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নতুন করে তৈরি হচ্ছে অপরাধের আস্তানা। কয়েকটি স্থানে গোপনে চলছে ভারতীয় তীর জুয়া। দক্ষিণ সুরমা থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মো: মনিরুল ইসলাম ও দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো. রোকনুজ্জামান পিপিএম থানা ও ফাড়িতে যোগদানের পর থেকে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করে আসলেও আবাসিক ও অনাবাসিক হোটেল গুলোতে থেমে নেই পাপাচার। সিলেট রেলওয়ে স্টেশন, টার্মিনাল ও কদমতলী এলাকার বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেলে সন্ধার পর থেকে খদ্দেরদের মিলনমেলা বসে। বিশেষ করে কদমতলী হুমায়ুন রশীদ চত্বর এলাকার হোটেলগুলো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অপরদিকে জিঞ্জিরশাহ মাজার এলাকা, কদমতলী ফেরিঘাট ও চাদনীঘাট এলাকায় প্রতিরাতে চলে জুয়া খেলার মহৌসব। জুয়াড়িরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেলেই সরে যায়। স্থানীয়রা বলেন, কলোনীর গুটিকয়েক মালিকরা বেশি অর্থের লোভে জুয়াড়িদের আশ্রয় দিয়ে এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছেন। তারা নিয়মিত পুলিশী টহল জোরদার করার দাবী জানান। এদিকে ১০ ফেব্রুয়ারী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই(নি:)/মো: রোকনুজ্জামান চৌধুরী পিপিএম এর নেতৃত্বে এএসআই/বুরহান উদ্দিন, এএসআই/সঞ্জয় কুমার দে, নারী কং/২৫৭৬ হেনা আক্তার সহ পুলিশ সদস্যরা দক্ষিণ সুরমা থানাধীন ভার্থখলাস্থ অভি আবাসিক হোটেলে অভিযান পরিচালনা চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে নারী পুরুষসহ ৯ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন, কামাল হোসেন (৩০), ফখরুল ইসলাম (২৪), ফারুক আহমদ (৪৫), জয়নাল মিয়া (৩০), হাসান (২২), শ্রী শ্যামল (৪০), আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মনিরুল ইসলাম ।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা