• ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

দক্ষিণ সুনামগঞ্জে সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

Daily Jugabheri
প্রকাশিত মার্চ ৩, ২০২১
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
 দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: 
সূর্যমুখী চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার  কৃষক পিন্টু তালুকদার। সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে এখন বিরাজ করছে রাজ্যের আনন্দ হাসি। শুধু পিন্টু তালুকদারই নয় এরকম সূর্যমুখীর বাগান করেছেন উপজেলার আরও অনেক কৃষকরা।
সূর্যমুখী ফুল চাষে আশার হলুদ ফুলের সৌরভ ছড়াচ্ছে। গাছে গাছে ফুটেছে ফুল। পুরো জমি হলদে ফুলে সুশোভিত। বাগানগুলো সড়কের পাশে হওয়ায় দূর থেকে তাকালে যে কারও মনে হতে পারে প্রকৃতি যেন হলুদ গালিচা বিছিয়ে দিয়েছে, যেখানে সাময়িক সময়ের জন্য হারিয়ে যেতে মন চায়। বিস্তৃত সূর্যমুখী বাগানের এই হলুদাভ দৃশ্যটি যে কারও মনকে আকৃষ্ট করে তুলে, যা পর্যটকদের কাছে টানছে এক অমোঘ আকর্ষণে। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘুরতে আসছেন পর্যটকেরা৷
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রথম বারের মত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। বন্যার পানি নামার পর৷ হাওরের অনেক জমি পতিত থাকে। তাই এ সকল জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি বছরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১২ হেক্টরেরও বেশি জমিতে প্যাসিফিক হাইসিন -৩৩ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রায় শতাধিক  কৃষকদের বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়। প্রতি হেক্টর জমিতে ৪০-৪৫ হাজার টাকা খরচ করে সূর্যমুখী চাষ করে কৃষকদের ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। আমরা সেই লক্ষেই তাদের উৎসাহ প্রদান করেছি।
কৃষক পিন্টু তালুকদার জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে হাইসি-৩৩ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে প্রতিটি গাছে ফুল ধরেছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন বিকালে শহরসহ আশপাশ এলাকা থেকে সৌন্দর্য পিপাসুরা দল বেঁধে আসেন সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে। তিনি আশা করেন সূর্যমুখী চাষে সফলতা আসবে।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার সজীব আল মারুফ বলেন, ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণের লক্ষে এ বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ১২ হেক্টরেরও বেশি  জমিতে হাইসিন-৩৩ জাতের সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে যে সয়াবিন তেল পাওয়া যায় তাতে কোনো ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নেই। বাজার থেকে যে সাধারণ সয়াবিন তেল কিনি তাতে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কৃষকদের স্বাবলম্বী করতে সূর্যমুখী ফুল চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদটি শেয়ার করুন