নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় রাতের কাল বৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ২০টি গ্রামের ঘরবাড়ি। বেসরকারী ভাবে প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। উড়ে গেছে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি, গাছপালা, বিদ্যূতের খুঁটি ও ফসলি জমির আধা পাকা ধান। নবীগঞ্জ উপজেলা ইউএনও ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন ক্ষকির পরিমান ব্যাপক হলেও এখনও পরিমান নির্ধারন করা হয়নি। জানাযায়,নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সিট ফরিদপুর,ফরিদপুর,নোয়াহাটি,ধর্মনগর,ছয়ঘর,বৈঠাখাল,ফুটারচর,ঝিটকিয়া,রুস্তমপুর,আউশকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিন দৌলতপুর,আমুকোনা,বেতাপুর,মিঠাপুর,উত্তর দৌলতপুর,উলুকান্দি,রায়পুর,আউশকান্দি,দেওতৈল, কুর্শি ইউনিয়নের কুর্শিগ্রাম, ফুটারমাটি, কল্যানপুর, ঘোলডুবা, বোরহানপুর,দীঘলবাক ইউনিয়নের দাউদপুর, দরবেশপুর,বোয়ালজুর,কারখানা প্রভৃতি গ্রামের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টায় উত্তর থেকে দক্ষিন দিকে হঠাৎ কালো হয়ে কাল বৈশাখী ঝড় শুরু হয়। ২০ মিনিটের ঝড়ে সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায়। অসংখ্য বিদ্যূতের খুঁটি, গাছপালা উপড়ে ফেলে এবং কাচা পাকা ঘর বাড়ির চাল ও ঘর উড়িয়ে নিয়ে যায়। দেবপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল মুকিত বলেন, তার ওয়ার্ডে প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।কাঁচাপাঁকা ঘরবাড়ি বিদ্যূতের খুঁটি উপড়ে ফেলেছে। অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তিনি দ্রুত সরকারী সহায়তা চেয়েছেন। নবীগঞ্জ পল্লী বিদ্যূত অফিসের ডিজিএম আলী বর্দি খান জানান, নবীগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যূত ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে ৪/৫ দিন সময় লাগবে। অনেক স্থানে বিদ্যূতের খুঁটির সাথে লাইনের গাছ পড়ে আছে এগুলো সরাতে অনেক সময় লাগছে। কয়েক কোটি টাকার বিদ্যূতের খুঁটি ও তার নষ্ট হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন বলেন, তিনি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।তাদের টিম গুলো কাজ করছে এখনো পরিমান নির্ধারণ করা হয়নি। তবে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন অচিরেই গৃহহীন মানুষের টেউটিন ও নগদ টাকা দেয়া হবে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা