দেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বেড়ে চলছে, আর এর জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী হয়ে যাচ্ছি, কারন মধ্যখানে দুই মাস করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় আমরা একেবারে কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যা ইচ্ছা তাই করছি এবং নিজের সর্বনাশ নিজেই ডেকে আনছি। এতে করে যে, আমরা সামনের দিকে আরও বড় বিপদে পড়তে যাচ্ছি যদিও তা আমাদের মাথায়ই আসছে না।
তাই সময় থাকতে আমাদের এখনোনি সাবধান হতে হবে। সঠিক নিয়মে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, লোক সমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য কর্মজীবী জনগণকে সহায়তা দিতে হবে।
আমরা যারা বয়েসে তরুণ আমাদের জন্য কিন্তু করোনার ২য় ঢেউ একেবারে বিপদজনক। এবারের করোনার ২য় ঢেউয়ে বেশিরভাগই তরুণ-যুবক আক্রান্ত হচ্ছেন। দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শঙ্কা প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম বলেছেন, সম্প্রতি যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই তরুণ-যুবক।
আক্রান্তদের অনেককেই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা লাগছে। সংক্রমণের ভয়াবহতার বর্ণনায় স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, গত দুই মাসে আমার কাছে কখনোই আইসিইউ বেডের জন্য কোনো অনুরোধ আসে নাই। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ফোন পাচ্ছি আইসিইউ বেড পাওয়া যাচ্ছে না, দেন।
তিনি জানান, আগে বৃদ্ধ ও দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভোগাদের আইসিইউতে নেওয়া লাগত।
এখন তরুণ সুস্থরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদেরকে আইসিইউতে নেওয়া লাগছে। করোনার ২য় ঢেউ মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া আমাদের ঘুরাফেরা না করাটাই উত্তম, বাহিরে কিছুদিনের জন্য আড্ডা দেওয়াটা বন্ধ করলে উপকারটা আমাদেরই হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাটা বিশেষ প্রয়োজন।
আসুন আমরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সতর্ক হই। আমরা আমাদের তরুণ যুবসমাজকে মেধা-মননে যোগ্য নাগরিক হিসেবে দেখতে চাই।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা