যুগভেরী রিপোর্ট :::
সিলেটে ছুরিকাঘাতে চীনা বিদ্যুৎ শ্রমিক উই ওনটোর (৪৮) নিহতের ঘটনায় এক জনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী।
বুধবার রাতে কতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় আরেক চীনা নাগরিক জো চাওকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে উই ওনটোর মরদেহ চীন থেকে আসা তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএস এম আবু ফরহাদ জানান, নিহত উই ওনটোর স্ত্রী ওয়াং কিউ আই ইউ জিং বাদী হয়ে বুধবার রাতে এ মামলা করেন। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিজ দেশে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বলে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে (১৮ মে) সিলেটের পাঠানটুলা এলাকার নিবাস-বি-১১-৯ নম্বর বাসা থেকে উই ওনটোর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উই সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎ প্লান্টে কাজ করতেন।
ওসি বলেন, সেদিন উই ওনটোর লাশের সঙ্গে জো চাও নামের আরেক চীনা শ্রমিককে ছুরিকাহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। তারা একই বাসায় থাকতেন। মামলায় জো চাওকে আসামি করা হয়েছে।
জো বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশের পাহাড়ায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার বর্ণনায় ওসি বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাজ করা ১২ জন চীনা নাগরিক পাঠানটুলার একটি বাসায় থাকতেন। উই ওনটো ও জো চাও ঘটনার দিন সকালে নাস্তার সময় একই পাত্রে হাত ধোয়া নিয়ে একে অপরের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে উই ওনটো ও জো চাও একে অপরকে ছুরিকাঘাত করেন। ছুরিকাঘাতে উই ওনটো ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে ওই বাসা থেকে দুটি ছোরা উদ্ধার করা হয়। পরে ওই বাসা থেকে দুটি ছোরা উদ্ধার করা হয়।
এদিকে উই ওনটোর নিহতের খবর পেয়ে বুধবার চায়না থেকে বাংলাদেশে আসেন তার স্ত্রী। চীনা দূতাবাসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার উই ওয়েন টাও’র ময়নাতদন্ত হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা