সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :::
সুনামগঞ্জের শাল্লার উপজেলার সংখ্যালঘু নোয়াগাঁও গ্রামে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাও. মামুনুল হক সমর্থকদের হামলা লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলায় গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী দিরাইয়ের নাচনী গ্রামের বাসিন্দা সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম অরফে স্বাধীন মিয়া আদালত থেকে জামিন পেয়েছে।
সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. ওয়াহিদুজ্জামান সিকদার বহুল আলোচিত মামলার প্রধান আসামী শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়ার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাড. শামছুন নাহার বেগম শাহানা।
আসামী পক্ষের আইনজীবী জালাল উদ্দিন আছপিয়া জেলা ও দায়রা জজ মো. ওয়াহিদুজ্জামান সিকদারের আদালতে প্রধান আসামী শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়ার জামিন প্রার্থনা করলে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে ১৯ মার্চ শনিবার রাতে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থেকে শহিদুল ইসলাম অরফে স্বাধীন মিয়াকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেট।
এদিকে, সোমবার পর্যন্ত নোয়াগাঁও গ্রামের ঘটনায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দানকারী অভিযুক্ত ঝুমন দাশ আপনের জামিন মঞ্জুর হয়নি বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী দেবাংশ শেখর দাশ।
ঝুমন দাশের আইনজীবী দেবাংশু শেখর দাস বলেন, ‘দুই বার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঝুমন দাশের জামিনের আবেদন করেছিলাম কিন্তু মঞ্জুর হয়নি। এরপর জেলা ও দায়রা জজ আদালতেও জামিন প্রার্থনা করেছিলাম কিন্তু আদালত জুমন দাশের জামিন মঞ্জুর করেন নি। এখন তার পরিবার উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়ার চেষ্টা করছেন।’
প্রসঙ্গত, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলনের নেতা ও হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মাও. মামুনুল হকের সমর্থকরা গত ১৭ মার্চ শাল্লার হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮ বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর করে। এসময় গ্রামের ৫ টি মন্দিরও ভাংচুর করে তারা। নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাশ আপনের ফেসবুক আইডি থেকে মাও. মামনুল হককে কটাক্ষ করে কথিত স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ায় ওই দিন সকাল এই তা-ব চালানো হয়। এ ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। মামলাগুলো তদন্ত করছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এই তিন মামলায় এই পর্যন্ত স্বেচ্ছায় হাজির হওয়াসহ ৯৪ জন আইনের আওতায় এসেছেন। ১১ জন আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। গত ২৭ মে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ১৮ জন জামিন পেয়েছেন।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা