
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: জগন্নাথপুরে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা বায়েস মিয়া নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের পিতা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি খলকু মিয়া। মামলার আসামীরা হলেন- জগন্নাথপুর পৌরসভার মধ্যবাজার এলাকার আবুল মিয়ার পুত্র আমজাদ হোসেন, চিলাউড়া গ্রামের আব্দুল খালিকের পুত্র মোজাহিদ আহমদ, শাহারপাড়া মোল্লাবাড়ি গ্রামের মৃত মো: আব্দুল করিমের পুত্র মো: সুজাত আহমদ ও মো: ছাব্বির আহমদ, আশারকান্দি গ্রামের বিলাল মিয়ার পুত্র শিপন আহমদ তালুকদার, রানীগঞ্জ এলাকার আরিফ মিয়ার পুত্র সোহেল মিয়া, ইনাতনগর এলাকার কামরান মিয়ার পুত্র কাদির মিয়া, মিরপুর এলাকার আমির আলীর পুত্র চেরাগ আলী, ইনাতনগর এলাকার মইন উদ্দিনের পুত্র আবু সাইদ ও টিয়ারগাও এলাকার জয়নাল আহমদের পুত্র আজাদ আহমদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি খলকু মিয়া ও উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আবুল হোসেন লালনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শত্রুতামি রয়েছে। উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ লেগেই আছে। গত মার্চ মাসে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান লালন গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হন। এরই জের ধরে গতকাল সকালে জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্টে উভয় পক্ষের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে ছাত্রলীগ নেতা বায়েস মিয়া ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার কোন গ্রুপ নেই। ছাত্রলীগ নেতা বায়েস হত্যার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।
এদিকে, জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ময়না তদন্ত শেষে বায়েস মিয়ার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের আটক করতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।