সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :::
সুনামগঞ্জ-সিলেট-ঢাকা সড়কের সিলেট বাইপাস এলাকায় আন্তঃজেলা বাস থেকে জোর করে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে আজ রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা দুর্ভোগের ধর্মঘট তিন দিনের জন্য স্থগিত করেছে সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের মধ্যস্থতায় ধর্মঘট স্থগিত করেন পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। জেলা প্রশাসকের অনুরোধের পর ৯ ঘণ্টা পর আজ বিকাল ৩ টায় জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেজাউল করিম।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সুনামগঞ্জ-সিলেট-ঢাকা সড়কের সিলেট বাইপাস সড়ক এলাকার তেমূখি নামক স্থানে সিলেট পরিবহন সমিতির নামে দূরপাল্লার বাসে চাঁদাবাজি করছে একটি চক্র। চাঁদা আদায় বন্ধের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বার বার বিষয়টি সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার হয়নি। অভিযোগ করার পর উল্টো শ্রমিকদের মারপিট করছে চাঁদাবাজরা। এরপর রবিবার সকাল থেকে অনিদিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রাখার ষোঘণা দেয় সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
এদিকে বাস ধর্মঘট শুরু হওয়ার পর শ্রমিক সংঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জয়নাল আবেদীন। এসময় শ্রমিক সংগঠনের নেতারা সড়কে দ্রুত চাঁদাবাজীর বন্ধের দাবি জানান। বৈঠকে জেলা প্রশাসক তাদের আশ্বাস দেন; সিলেট বাইপাস সড়কে অন্যায়ভাবে চাঁদা দিতে হবে না। তারপর সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সকলের মতামত নিয়ে পরিস্থিতি দেখার জন্য তিন দিনের জন্য ধর্মঘট স্থগিত করেন।
সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেজাউল করিম বলেন,‘ সড়কে চাঁদাবাজীর প্রতিবাদে আমরা রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ঘোষণা করেছিলাম। পরে জেলা প্রশাসক আমাদের সাথে বৈঠকে বসে আশ্বাস দিয়েছেন সিলেট বাইপাস সড়কে আর কোন চাঁদাবাজি হবে না এবং সেখানে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পরিস্থিতি দেখার জন্য আমরা তিন দিনের জন্য ধর্মঘট স্থগিত করেছি। সড়কে চাঁদাবাজী বন্ধ না হলে আমরা আবারও ধর্মঘটের ডাক দিব।’
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,‘ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দ্রুত লাগব করতে আমরা শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সাথে বৈঠক করেছি। সড়কে চাঁদা আদায়ের বিষয়ে সিলেটের পুলিশ কমিশনারের সাথে কথা বলেছি। এর পরই সড়কের ওই স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এবং পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সড়কে গাড়ি চালাতে রাজী হয়েছেন।’
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা