• ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

কালীবাড়িতে পূজামন্ডপে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের : মামলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ : কাউন্সিলর ইলিয়াস

Daily Jugabheri
প্রকাশিত অক্টোবর ১৮, ২০২১
কালীবাড়িতে পূজামন্ডপে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের : মামলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ : কাউন্সিলর ইলিয়াস

স্টাফ রিপোর্টার: নগরীর মদিনামার্কেট কালীবাড়িতে দুর্গাপূজার মন্ডপে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল রোববার (১৭ অক্টোবর ২০২১) এসএমপির জালালাবাদ থানার এসআই কাজী জামাল উদ্দিন বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ফয়সাল পিতা: অজ্ঞাত, রায়হান পিতা: অজ্ঞাত, লিটন পিতা: মজনু, হাবিব উল্লাহ পিতা: অজ্ঞাত, শাহাদাত পিতা: ইসমাঈল মিয়া, মাহফুজুর রহমান খান পিতা: আব্দুল গফফার খান, সুহেল মিয়া পিতা: সফিক মিয়া সহ ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২ থেকে আড়াইশো জনকে আসামী করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (১৫/৭/২০২১) জুমার নামাজের পর এই ঘটনা ঘটে। মহানগর শিবিরের নেতা ৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি মাহফুজ ও তার সঙ্গী অত্র এলাকার ফয়সাল, রায়হানসহ দুই শতাধিক মুসল্লি অতর্কিতে এই হামলা চালায় বলে পুলিশ জানায়। এসময় পুলিশের তৎপরতায় তারা প্রতিমা ভাঙচুর করতে না পারলেও ক্ষিপ্ত হয়ে মন্ডপ প্রাঙ্গনের অনেক ক্ষতি করে। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ভাঙচুরের ঘটনা অনাকাক্সিক্ষত বলে স্বীকার করলেও মামলায় প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ করা হয়েছে বলে মনে করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার পুলিশ খবর পায় মদিনামার্কেট আখালিয়া কালীবাড়ির রাস্তার মুখে প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩শ মুসল্লি জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে কালীবাড়ি পূজা মন্ডপের দিকে এগিয়ে আসছে। পুলিশ আগে থেকে সতর্ক থাকায় মন্দিরের মূল গেইট বন্ধ করে দেয়। মুসল্লিরা দেশি অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে মন্দিরের কাছাকাছি এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মন্দিরের গেইট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় তারা পূজা মন্ডপের নিরাপত্তায় থাকা নিরস্ত্র সেচ্ছাসেবীদের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় প্লাবন সরকার ও গৌরব দাস নামে দুই সেচ্ছাসেবী মারাত্মক জখম হন এবং একজন পুলিশ সদস্য লাঠির আঘাতে আহত হন। পরিস্থিতির ভয়াবহতায় পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা পূজা মন্ডপের বাইরের লাইটিং, বাঁশ খুলে নেয় এবং আশপাশে থাকা প্রাইভেট কার ও বাড়িঘরের জানালার কাঁচ ভেঙে রেখে যায়।
এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানার ওসি নাজমুল হুদা জানান নাশকতার উদ্দেশেই এই হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারিদের অনেকেই এলাকার চিহ্নিত জামাত-শিবির নেতাকর্মী। আমরা অনেককেই চিহ্নিত করতে পেরেছি। তাদের ধরতে অভিযান চলেছে। কয়েকজনের ছবি আমাদের হাতে এসেছে। আমরা ছবি দেখে তাদের সনাক্ত করে প্রত্যেকের বাসা ও গ্রামের বাড়িতে তল্লাশী চালাচ্ছি। আসামীরা কেউ রেহাই পাবে না।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান ভাঙচুরের ঘটনা স্বীকার করে এটি অনাকাক্সিক্ষত বলে জানান। তিনি বলেন কিছু বহিরাগত উশৃংখল লোকজন এলাকার শান্তি বিনষ্ট করতে এরকম এটা করেছে। কিন্তু পুলিশ মূল আসামীদের খুঁজে বের না করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ প্রকাশ ঘটিয়েছে। তারা ওয়ার্ড শিবির নেতা মাহফুজ সহ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে মামলায় আসামী করেছে কিন্তু হামলার সময় তাদের কাউকে দেখা যায়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী আমাকে জানিয়েছেন। তাই আমি বলবো রাজনৈতিক বিবেচনায় না নিয়ে পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করুক এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসুক।

সংবাদটি শেয়ার করুন