নিজস্ব সংবাদদাতা, কানাইঘাট ::
সিলেটের কানাইঘাটে ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় ফখরুল ইসলাম (৪৮) নামে এক আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৭ নভেম্বর) সিলেট জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আরও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে এ মামলায় জামিনে থাকা আরেক আসামি আব্দুস সাত্তারকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ফখরুল সিলেটের কানাইঘাট আটফৌদ পূর্ব গ্রামের মৃত জুয়াহির আলীর ছেলে। আদালতের বিচারক তার উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া খালাস পাওয়া আব্দুস সাত্তার একই গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে।
মো. সোহেল রানা বলেন, ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টায় ভূমির নিষ্পত্তি করতে আসামিদের বাড়ির পাশে সুরই নদীর ডাইকে সালিশে যান ফারুক আহমদ। সালিশ চলাকালে সাক্ষী ফরিদ আহমদের ওপর হামলার চেষ্টা করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় ফখরুল কোমর থেকে ছুরি বের করে ফরিদকে আঘাত করার চেষ্টা করেন। তাকে আটকাতে চেষ্টা করেন ফারুক আহমদ। কিন্তু ফখরুল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সালিশ ব্যক্তিত্ব ফারুক আহমদের গলায় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করেন।
উপস্থিত লোকজন ঘাতক ফখরুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলেও অপর আসামিরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মুহিবুর রহমান বাদী হয়ে ৪ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ২/৩ জনকে আসামি করে কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কানাইঘাট থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) স্বপন চন্দ্র ওই বছরের ২১ অক্টোবর ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (নং ১৫৬) দাখিল করেন আদালতে। মামলাটি আদালতে বিচারের জন্য পাঠালে দায়রা-৯৫৫/১৯ মূলে রেকর্ডের পর চার্জ গঠন করে বিচার প্রক্রিয়ায় ২১ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ও অ্যাডভোকেট রণজিৎ সরকার এবং বাদী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা