যুগভেরী রিপোর্ট
সিলেট রেলস্টেশন থেকে সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ১৫টি বগি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে আন্তনগর ট্রেন জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস। বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে পথে হবিগঞ্জে মনতলা স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে ট্রেনটি।
বিরতি শেষে ৩টা ৪২ মিনিটে আবার যাত্রা শুরু করে এবং স্টেশন ছেড়ে কয়েক গজ যেতেই ট্রেনের মাঝখানে বগির জয়েন্ট খুলে যায়। এতে ট্রেনটি পেছনে ৫টি বগি ও সামনে ১০টি বগি নিয়ে দুই ভাগ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আশপাশের লোকজন চিৎকার করে চালকের দৃষ্টি কাড়েন। পরে প্রথম অংশের চালক ট্রেনটি থামান।
এ ঘটনায় যাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়েন।
ট্রেনের যাত্রী সফিকুল আলম বলেন, আমরা প্রথমে আঁচ করতে পারিনি। পরে দেখি আশপাশের লোকজন চিৎকার করছেন। জানালা দিয়ে দেখি কিছু বগি নিয়ে আমাদের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে। পরে বুঝতে পারি ট্রেনটি জয়েন্ট খুলে বিভক্ত হয়ে গেছে। ভাগ্য ভালো স্টেশনের কাছে এ ঘটনা ঘটেছে। নইলে বড় সমস্যায় পড়তাম।
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. জাহিদ হোসেন বলেন, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেন মনতলা স্টেশনে যাত্রাবিরতির পর চলতে শুরু করলে হঠাৎ ১১ নম্বর বগির জয়েন্ট খুলে যায়। এতে ট্রেনটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে তারা আখাউড়া রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা আসার পর এই সমস্যার সমাধান হয়।
‘তবে জয়ন্তিকার এই সমস্যার কারণে ঢাকা-সিলেট রেলপথে আর কোনো ট্রেন চলাচলে কোনো সমস্যা হয়নি। স্টেশনের কাছে হওয়ার কারণে বিকল্প প্ল্যাটফর্মে ট্রেনগুলো চলাচল অব্যাহত ছিল।’
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা