মহামারীতে সৃষ্ট আকালে একটুখানি স্বস্তি পাওয়ার আশায় নিজের ভাড়াটিয়া বাসাতে অপর এক পরিবারকে সাবলেট দিয়ে বিপাকে পড়েছেন নিরীহ গৃহবধু সুমা বেগম চৌধুরী। কয়েক মাসের পাওনা থাকা ভাড়া আদায়ে তাগদা দিতে গিয়ে সাবলেটে বসবাসকারী উগ্রমূর্তির স্বামী-স্ত্রীর হাতে প্রচন্ড মারপিটের শিকার হয়েছেন। আর ন্যায়বিচার চাইতে থানায় মামলা করে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন তিনি ও তার পরিবার। বিবাদীদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী চক্রের হুমকীÑধমকির মুখে এখন নিজেরাই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জ জেলা সদরের হাছননগরে।
মামলা সুত্র ও বাদি সুমা বেগম চৌধুরীর মাধ্যমে জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার চানপুর গ্রামের বাসিন্দা এক দম্পত্তি চাকুরী সুত্রে সুনামগঞ্জ জেলা সদরে বসবাস করেন। ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল গউছ ও আব্দুল খয়ের ভাইদ্বয়ের মালিকানাধীন সুনামগঞ্জ শহরের হাছননগর ময়নার পয়েন্টেস্থ উপত্যকা আ/এ ৬৬/৪নং জহুরা ভিলা ভাড়া নিয়ে তথায় বসবাস করছিল তাদের পরিবার। কোভিড-১৯-এর কারণে পরিবারটি কিছুটা আর্থিক বিপর্যয়ে পড়ে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে বছরখানেক পূর্বে জনৈক মনির হোসেনের মধ্যস্থতায় সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সদর উপজেলার আস্তমা গ্রামের বাসিন্দা ঐ দম্পতিকে নিজেদের ভাড়াটিয়া বাসায় সাবলেট দেন। ভাড়া দেয়ার পর ৪/৫ মাস ঠিকমতো ভাড়া পরিশোধ করলেও পরবর্তীতে আব্দুল লতিফরা ভাড়া প্রদানে গড়িমসি শুরু করেন। এ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে একপর্যায়ে ফারুক চৌধুরী গত ১৯/০১/২২ তারিখে কোতয়ালী থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করেন (জিডি নং-৮৯৩)। কিন্তু এতেও কোন সুরাহা হয়নি। এ অবস্থায় ত্যাক্ত-বিরক্ত হয়ে ফারুক চৌধুরীর স্ত্রী সোমা চৌধুরী ভাড়া চাইতে গেলে সাবলেট আব্দুল লতিফ ও কলি বেগম উগ্রমূর্তি ধারণ করে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে স্বামী-স্ত্রী মিলে সুমা চৌধুরীকে প্রচন্ড মারপিট করেন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ০৮/০২/২২ তারিখে ভিকটিম কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগ পেশের পর কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি বিষয়টি আপোষে নিস্পত্তি করে দেয়ার আশ্বাস দিলে পুলিশ তৎক্ষণাৎ তা এফআইআর করেনি। কিন্তু মধ্যস্থতাকারীদের এ উদ্যোগকে পাত্তাই দেয়নি বিবাদীরা। বেশ কয়েক দিন অপেক্ষার পর কোন মিমাংসা না আসায় গত ০১/০৩/২২ তারিখে পুলিশ মামলাটি এফআইআর করে (মামলা নং-০২/২২)। থানার সাব-ইন্সপেক্টর কানাইলাল চক্রবর্তী মামলাটি তদন্ত করছেন। কোতয়ালী থানা পুলিশ বলছে, মামলার তদন্ত চলছে। এ পর্যায়ে বহিরাগত কেউ এতে বাগড়া দিলে পুলিশ তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারে। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা