যুগভেরী ডেস্ক ::: নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গতি গোবিন্দ দাশ ও তার গ্রামের রন দাশের লোকজনের মাঝে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে উভয়পক্ষের অন্তত প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গতি গোবিন্দ দাশ ও তার গ্রামের বাড়ি ৭ নম্বর করগাঁও ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের রন দাশের মাঝে দীর্ঘদীন ধরে দেবোত্তর সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার (২৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের লোকজনের মাঝে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘন্টাব্যাপি চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় রঞ্জন দাশ (৪১), পাপন দাশ (৩৫), সুজিত দাশ (৪৭), বিধু ভূষন দাশ (৪২), এড. রাজেশ দাশ (৪০), ধনঞ্জয় দাশ (৩৪), মিনু দাশ (২৫), দিলু দাশ (২৮), যোগেন্দ্র দাশ (১৮), সৌরভ দাশ (১৮), রঞ্জন দাশ (৩১), সুমন দাশ (৩৫), নিলকন্ঠ দাশকে (৪০) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ৩ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও আহত ২০ জনকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে এবং অন্যন্য আহতদেরকে বিভিন্ন পল্লী চিকিৎসালয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ব্যাপারে ৭ নম্বর করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানা বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেই এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করি। বিষয়টি সমাধানের স্বার্থে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিমসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে মিমাংসার উদ্যোগ নিয়েছি।’
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমদ বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক আমাদের টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা