• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বড়লেখায় অব্যবস্থাপনায় স্মার্টকার্ড সংগ্রহে চরম ভোগান্তি

Daily Jugabheri
প্রকাশিত জানুয়ারি ৬, ২০২৩
বড়লেখায় অব্যবস্থাপনায় স্মার্টকার্ড সংগ্রহে চরম ভোগান্তি

যুগভেরী ডেস্ক ::: বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অবিতরণকৃত স্মার্টকার্ড (জাতীয় পরিচয়পত্র) সংগ্রহ করতে নাগরিকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাচন অফিসের অব্যবস্থাপনার কারণে দূর-দূরান্তের লোকজনকে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে কার্ড সংগ্রহ করতে গিয়ে যাতায়াত বাবদ অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি সকাল থেকে রাত অবধি বসে থাকতে হচ্ছে।

ভুক্তভোগী মহল ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি অবিতরণকৃত স্মার্টকার্ড একদিন করে ইউনিয়নে গিয়ে বিতরণের ব্যবস্থা নিলে জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘব হতো।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শত শত মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে স্মার্টকার্ড বিতরণের নির্ধারিত তারিখে যারা কার্ড সংগ্রহ করতে পারেননি তাদের উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে কার্ড সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়। ৩ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। ওই দিন থেকে উপজেলা নির্বাচন অফিস প্রাঙ্গণে ভুক্তভোগীরা হুমড়ি খান। স্মার্টকার্ড করে ফিঙ্গার ও আইরিশ প্রদানে অনেককে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এমনকি রাত অবধি অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বিশেষ করে দূর-দূরান্ত থেকে শিশুসন্তানদের সাথে নিয়ে আসা নারীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়ন থেকে স্মার্টকার্ড সংগ্রহে আসা কুলছুমা বেগম জানান, তিনি সকাল ৯টায় উপজেলায় গেছেন। স্মার্টকার্ড খুঁজে বের করার জন্য পুরাতন কার্ড জমা দিয়েছেন ১০টার দিকে। এখন দুপুর ১টা হয়ে গেছে। কখন কার্ড পাবেন আর ফিঙ্গার দিবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না।

সাবেক উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ দাস নান্টু ও উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ জানান, তাদের ইউনিয়নের লোকজনকে উপজেলা পরিষদে আসা যাওয়ায় জনপ্রতি অন্তত ১০০-১৫০ টাকা খরচ হয়। একজনকে সাথে নিয়ে আসলে ২৫০-৩০০ টাকা লাগে। কার্ড সংগ্রহ করতে উপজেলা গিয়ে সময় ব্যয়ের সাথে অর্থ ব্যয়ও হচ্ছে। রাত অবধি বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও নারীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। নির্বাচন অফিস অবিতরণকৃত কার্ডগুলো বিতরণের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে আরেক দিন গিয়ে বিতরণের ব্যবস্থা নিলে মানুষজন এত ভোগান্তির শিকার হতেন না।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার এসএম সাদিকুর রহমান জানান, মানুষের যাতে ভোগান্তি না হয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন