সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলীতে সুরমা নদীর তীঁরে চিরশায়ীত ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম হযরত শাহ্ সামালাল শাহ (রঃ), হযরত আবিদাল শাহ (রহঃ), হযরত রহমত শাহ্(রঃ), হযরত দরিয়া শাহ্(রহঃ) গণের বাৎসরিক পবিত্র উরুস শরীফ আগামী ৬ মার্চ থেকে শুরু হবে।
প্রতি বছরের মতো এবারো বাংলা মাসের ২০, ২১, ও ২২ ফাল্গুন উরুস শরীফ অনুষ্টিত হওয়ার কথা থাকলেও পবিত্র শবে-বরাতের কারণে তিন দিনের জায়গায় একদিন ও এক রাত উরুস শরীফ অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার রাত ৮ টায় ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম হযরত শাহ্ সামালাল শাহ (রঃ), হযরত আবিদাল শাহ (রহঃ), হযরত রহমত শাহ্(রঃ), হযরত দরিয়া শাহ্(রহঃ)’র মাজার পরিচালনা কমিটির এক জরুরী বৈঠক অনুষ্টিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট রফিকুল হকের সভাপতিত্বে নেতৃবৃন্দরা উরুসের তারিখ ৬ মার্চ নির্ধারণ করেন।
উরুস শরীফ ৬ মার্চ ভোর থেকে শুরু হয়ে ৭ মার্চ ভোরে শেষ হবে। উরুসের প্রথম দিন ৬মার্চ বাদ ফজর হতে খতমে কোরআন শরীফ পাঠ, বাদ এশা মিলাদ শরীফ ও দোয়ার পর জীকির আজকার, মাজারে গিলাপ দেওয়া, গরু জবেহ্ । ৭ মার্চ বাদ ফজর আখেরী মোনাজাত, নিয়াজ বিতরণের মাধ্যমে উরুসের সমাপ্তি হবে।
পবিত্র উরুসে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভক্তবৃন্দের উপস্থিতি কামনা করেছেন মাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজী সমরাজ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ তৌফিক বকস্ লিপন।
সভাপতি হাজী হাজী সমরাজ মিয়া জানান, উরুসে ব্যাপক নিরাপত্তার পাশাপাশি শান্তি শৃংখলা রক্ষার কাজে এলাকার যুবক থেকে সব বয়সের সাধারণ বাসিন্দারা দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া উরুসে লাউড স্পিকার বাজানো যাবেনা। মহিলাদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই, সব ধরনের অন্যায় কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ঐতিহ্যবাহী পবিত্র এ উরুস মোবারক যথাযথভাবে পালনের জন্য মাজার এলাকার ভেতর তৈরি করা হবে কাফেলা। মাজারের চারপাশে শান্তি শৃংখলা রক্ষার কাজে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আশা ভক্ত ও আশেকানদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পবিত্র উরুস শরীফ শান্তিপূর্ণ ও সুষ্টভাবে পালনের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা