• ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মুহূর্তেই কেজিতে ৩০ টাকা বাড়ল পেঁয়াজের দাম : রপ্তানি বন্ধ করল ভারত

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৯, ২০২৩
মুহূর্তেই কেজিতে ৩০ টাকা বাড়ল পেঁয়াজের দাম : রপ্তানি বন্ধ করল ভারত

যুগভেরী ডেস্ক ::: ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় দেশে ফের অস্থির হচ্ছে পেঁয়াজের বাজার। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন, আমদানি ও সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও ১ দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতার সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা।  শুক্রবার রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন- ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলেও বর্তমানে দেশের বাজারে প্রভাব পড়ার কোনো কারণ নেই। কারণে দেশে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ও আমদানি পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়েছে। পাশাপাশি নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। ফলে এখন দাম বাড়া অযৌক্তিক। তাই তদারকির মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা না হলে অসাধু মহল আবার পেঁয়াজের দাম নিয়ে ভোক্তাকে নাজেহাল করে ফেলবে।এদিকে বৃহস্পতিবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। বৃহস্পতিবার থেকে রপ্তানি বন্ধ কার্যকর হয়েছে। আর ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এ নোটিশ জারির আগে পেঁয়াজের গাড়ি লোড হয়ে থাকলে সেটি সংশ্লিষ্ট দেশে পৌঁছে যাবে। অথবা পেঁয়াজ ভর্তি গাড়ি বা জাহাজ ভারতীয় পোর্ট অতিক্রম করলে সেটি এ নির্দেশনার আওতায় পড়বে না। এছাড়া কোনো দেশের সরকারের অনুরোধে ভারত সরকার চাইলে পেঁয়াজ রপ্তানির নীতিতে পরিবর্তন আনতে পারবে। শুক্রবার রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ দিন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা এক দিন আগে ও ১৩০-১৩৫ টাকা ছিল। পাশাপাশি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। যা ১ দিন আগে বৃহস্পতিবার ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৫ লাখ টন। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, এ বছর দেশে প্রায় ৩৪ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু মজুত সুবিধার অভাবে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় ২৫ শতাংশ নষ্ট হয়েছে। ফলে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, এই মুহূর্তে দেশের পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। যতবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে, দেশে ঠিক ততবার অসাধু ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম বাড়িয়েছে। এবারও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ও আমদানি পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়েছে। পাশাপাশি নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। তাই তদারকির মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা না হয় অসাধু চক্র ফের ভোক্তার পকেট কাটবে। তথ্য সূত্র : যুগান্তর

সংবাদটি শেয়ার করুন