‘বন্যায় সিলেটে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সিসিকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারা দিন আমি ও আমার পরিষদের সকল কাউন্সিলর বন্যাকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। সিসিকের তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করবো।’
মঙ্গলবার রাতে নগরভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিসিক মেয়র বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষ যেন ভোগান্তি না পোহান সেদিকে নজর রাখা হয়েছে। শুকনো ও রান্না করা খাবার তাদের দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধও দেওয়া হচ্ছে। বন্যার্তদের দুর্ভোগ কমাতে যথাযথ সব করা হবে।
সিসিক মেয়র আরও বলেন, ‘যতদিন বন্যার পানি না কমছে ততদিন আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। নগরভবনে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এখান থেকে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এসব কার্যক্রম আমি নিজে তদারিক করবো। এক মিনিটের জন্যও আমাদের কার্যক্রম বন্ধ হবে না। সরকারের উচ্চ মহল ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আজ দফায় দফায় যোগাযোগ হয়েছে। তারা সিলেটের প্রতি অতি আন্তরিক। সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় যত ধরনের সহযোগিতা দরকার করবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘দলমত নির্বিশেষ সবাইকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে। পাশাপাশি প্রবাসীরাও আশা করি এ দুর্যোগ সময়ে সিলেটবাসীর পাশে দাঁড়াবেন।’
প্রসঙ্গত, মহানগরের সব নিচু এলাকা পানিতে নিমজ্জিত। বিশেষ করে শাহজালাল উপশহর প্রায় পুরোটাই পানির নিচে। অনেকের বাসার নিচতলায় গলা পর্যন্ত পানি। এছাড়া যতরপুর, মেন্দিবাগ, শিবগঞ্জ, রায়নগর, সোবহানীঘাট, কালিঘাট, কামালগড়, মাছিমপুর, তালতলা, জামতলা, কাজিরবাজার, মাদিনা মার্কেট, আখালিয়া ও মেজরটিলাসহ মহানগরের অধিকাংশ এলাকা বন্যা কবলিত। মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেটজুড়ে ৮৬৪টি গ্রাম ও এলাকা প্লাবিত। এসব গ্রাম ও এলাকার ৩ লাখ ৭১ হাজার ৫০৭ জন মানুষ বন্যা আক্রান্ত। এর মধ্যে সিলেট মহানগরের ৪টি ওয়ার্ডের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী। জেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৬১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে মহানগরে ৮০টি।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা