সুনামগঞ্জের শাল্লায় বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সেক্রেটারি (সচিব) ভানু চাঁদ দাসের কাছ থেকে অর্থ উদ্ধারের লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়। গত ২৭ আগষ্ট (বুধবার) বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন একই পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা/ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট বিষ্ণুপদ দাশ।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বিগত অর্থ বছরে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালিত দুস্ত মহিলা উন্নয়ন (ভিজিডি) ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা ইউপি সচিব ভানু চাঁদ দাসের নিকট জমা ছিল। উক্ত টাকা ব্যাংক এশিয়া এজেন্টের নিকট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি দেই দিচ্ছি বলিয়া দেন নাই। বর্তমানে উল্লেখিত টাকা জমা দেওয়ার কথা বললে ইউপি সচিব ভানু চাঁদ দাস নানা ধরনের তাল-বাহানা করছেন।
বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু বলেন, আমি বিষ্ণুর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ভিজিডির টাকা আমাদের উদ্যোক্তা বিষ্ণুর কাছে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উদ্যোক্তা বিষ্ণুর কাছে টাকা জমা দেয়নি। এই বিষয়টা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব স্যার সহ আমার পরিষদের সদস্যগন উপস্থিত থেকে সামাজিকভাবে বৈঠক হয়েছে এবং ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে টাকা দিবে বিষ্ণুর কাছে কিন্তু আজ পর্যন্ত বিষ্ণু এ টাকা পায়নি। এখন আমাদের সেক্রেটারি ভানু বাবু অসুস্থ, উনি সুস্থ হলে আমাদের পরিষদের সবাইকে নিয়ে বসে এই ব্যাপারে আলোচনা করব।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল-আমিন) চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
ইউনিয়ন পরিষদ সেক্রেটারী (সচিব) ভানু চাঁদ জানান, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। মহিলারা কিছু টাকা ঢোকা পাইতো আগের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সহ এই বিষয়টা সমাধান করছে আমি জানি। আমার কাছে বিষ্ণু কোন টাকা পায় না। বিষ্ণুর সাথে আমার কোন লেনদেন নাই। তপন রে জিজ্ঞেস করলে সবকিছু পাওয়া যাবে।
এব্যাপারে সেক্রেটারি ভানু বাবুর একান্ত সহকারী (পিএস) তপন জানান, আমি যতটুকু জানি বিষ্ণুর যে অভিযোগ এই বিষয়ে ভানু বাবুর কোন সম্পৃক্ততা নেই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এই দুজনের মধ্যে চাকরি করতে গিয়ে অফিসিয়াল ভাবে একটু মনোমালিন্য আছে। এটা চরিত্র হননের জন্য কাজটি করা হয়েছে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা