সিলেট মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছেনা অবৈধ পার্কিং। সড়ক দখল করে অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখা হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা। পুলিশ মাঝেমধ্যে অভিযান পরিচালনা করলেও, বাড়ছে না সচেতনতা।
রবিবার (৬ অক্টোবর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক থেকে অলিগলি সব জায়গায় দীঘ যানজট লক্ষ করা যায়। আর কয়েকদিন পরেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। যার ফলে মহানগরের বিভিন্ন শপিং মল ও বিপণিবিতান গুলোতে বাড়ছে মানুষের চাপ। এটাকে পুঁজি করে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সিএনজি ও রিকশার চালকরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গাড়ি রাখার জায়গা না থাকায়, বিভিন্ন সড়কের প্রায় অধিকাংশ জায়গা পার্কিংয়ের কারণে দখল হচ্ছে। রাস্তায় অবৈধ পাকিং ঠেকাতে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিতে না পারলে, রাস্তায় পার্কিং ঠেকানো যাবে না। এছাড়া গাড়ির সংখ্যার তুলনায় পর্যাপ্ত রাস্তা না থাকায় যানজটে পড়তে হয় নগরবাসীকে। এই যানজট আরও তীব্র হয়, যখন সারিবদ্ধভাবে রাস্তা দখল করে রাখা হয় ব্যক্তিগত যানবাহন।
শুধু ব্যক্তিগত নয়, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও সরকারী প্রতিষ্ঠানের গাড়িও অবৈধভাবে রাস্তার উপর পার্ক করে রাখা হয় ঘন্টার পর ঘণ্টা। অবৈধ পার্কিং বন্ধে প্রয়োজন প্রতিটা বিল্ডিং ও শপিংমলে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা এমনি অভিমত বিশেষজ্ঞদের।
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন- কমিশনার স্যারের নির্দেশে মহানগর এলাকায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে অবিরাম কাজ করছি। এসএমপি’র ট্রাফিকে খানিকটা জনবল সংকট রয়েছে। মহানগরের ব্যস্ততম সড়কে অবৈধ গাড়ি পার্কিং উচ্ছেদে থানা বা ফাঁড়িপুলিশেরও দায়িত্ব রয়েছে। তাদেরকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আবারও বলা হবে- যাতে সড়কে গাড়ি অবৈধভাবে পার্কিং করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে কড়া নজরদারি রাখতে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা