সিলেটের সুলতান’স ডাইন শাখাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সাথে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে রেস্টুরেন্টটির বিরুদ্ধে ওঠা মাংসে ভেজালের সত্যতা মিলেনি অভিযানকালে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও নিরাপদ খাদ্য সংরক্ষণ অধিদপ্তর যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মাংসের সংরক্ষণাগারে জেনারেটর না থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে এই জরিমানা করে।
এছাড়া রান্নাঘরে বাঁশ ও কাঠের পরিবর্তে এসএস পাইপ ব্যবহার, জেনারেটর স্থাপন, কাচ্চিতে ব্যবহৃত চালের আমদানি রশিদ সংরক্ষণ নিশ্চিতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সিলেট ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক (মেট্রো) শ্যামল পুরকায়স্থ ও নিরাপদ খাদ্য অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সৈয়দ সারফরাজ হোসেন অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি সিলেটের সুলতান ডাইন রেস্টুরেন্ট শাখায় দুর্গন্ধযুক্ত মাংস ব্যবহার করে কাচ্চি বিরিয়ানি তৈরির অভিযোগ উঠে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার ভোক্তা ও নিরাপদ খাদ্য অধিকার অধিদপ্তর রেস্টুরেন্টটিতে অভিযান চালায়। তবে অভিযানকালে দুর্গন্ধযুক্ত মাংস ব্যবহার করে কাচ্চি বিরিয়ানি তৈরির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
অভিযান শেষে শ্যামল পুরকায়স্থ ও সৈয়দ সারফরাজ হোসেন জানান- সুলতান’স ডাইনের মাংসের সংরক্ষণাগারে জেনারেটর না থাকার কারণে মাংস প্রিজারভেশনে সমস্যা হতে পারে। একই সাথে খাবারে তেলের ব্যবহার ঠিকভাবে করা হয়নি এবং বিদেশ থেকে আনা বাসমতি চালের রশিদ দেখাতে পারেননি তারা। এছাড়া রান্নাঘরে শেফদের রান্নার কাজে বাঁশ ও কাঠের ব্যবহার করা হচ্ছে- এসব ভেঙে নিয়ে খাবারে থেকে যেতে পারে। এসব কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে রান্নার কাজে বাঁশ ও কাঠের পরিবর্তে এসএস পাইপ ব্যবহার এবং চাল আমদানির রশিদ সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। নিয়ম মেনে ও সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য ৭ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে তাদের। পরবর্তীতে কোনো অনিয়ম দেখা গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা