সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজায় সিলেটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন। নিয়মিত পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, আনসার-ভিডিপি ও পুলিশ প্রশাসন।
এছাড়া পূজাকালীন নিরাপত্তা ও বিভিন্ন বিষয়ে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ রাখছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী- এ বছর সিলেটে জেলায় ৪৪১টি এবং মহানগরে ১৫৪টি মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে।
পূজা উদযাপন পরিষদ
সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক চন্দন দাশ বলেন- বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, আনসার-ভিডিপি ও পুলিশ প্রশাসন পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ বাহিনীর সদস্য, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, র্যাব এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, এ বছর নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই। নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কার কোনো তথ্যও নেই। সিলেটবাসীর প্রত্যাশা- প্রতি বছরের মতো এবারো দুর্গাপূজা সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হবে।
এদিকে, পূজা উপলক্ষে সিলেটে পূজা কমিটিগুলোকে সিটি করপোরেশন থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। রবিবার (৬ অক্টোবর) এই অনুদানের চেক বিতরণকালে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী (এনডিসি) বলেন, সিলেটে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল উদাহরণ রয়েছে। এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। এবারো সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। পূজা উদযাপনে সিসিকের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
এসময় পূজায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, বিভিন্ন সড়ক বিশেষ করে মণ্ডপ এলাকা আলোকিত করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, রাস্তাঘাট প্রয়োজনীয় সংস্কারসহ সংশ্লিষ্টদের নানা নির্দেশনা দেন আবু আহমদ ছিদ্দীকী।
এছাড়া কোনো গুজবে কান না দিয়ে যে কোনো প্রয়োজনে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পূজা মণ্ডপ সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা