সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ লায়েককে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তুলে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। তবে আবেদনের শুনানি পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক।
এদিকে, পুলিশ লায়েককে আদালত প্রাঙ্গনে নিয়ে আসলে তার উপর হামলার ঘটনা ঘটে। আদালত চত্বর ও বারান্দায় তাকে কয়েকজন কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এসময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
এর আগে শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভোররাতে রাজধানী ঢাকার একটি আবাসিক এলাকা থেকে লায়েককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাকে সড়ক পথে সিলেট নিয়ে আসা হয়। দীর্ঘ যাত্রায় অসুস্থতাবোধ করার কারণে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পর কোতোয়ালি মডেল থানাহেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. জিয়াউল হক বলেন- আবুল কালাম আজাদ লায়েকের বিরুদ্ধে আদালত ও থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। এগুলো ৫ আগস্টের আগে আন্দোলন চলাকালীন নাশকতা, হত্যাচেষ্টা ও হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা। এসবের মধ্যে বন্দরবাজার এলাকার একটি ঘটনায় তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। তবে আজ (রবিবার) শুনানি হয়নি, পরবর্তীতে হবে।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর সিলেট সিটি করপোরশনের আওয়ামীপন্থী কাউন্সিলররা আত্মগোপনে চলে যান। আত্মগোপনে ছিলেন আবুল কালাম আজাদ লায়েকও।
সিসিকের ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক এই কাউন্সিলর টানা দুইবার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ছিলেন। প্রথমবার নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন সময় খবরের শিরোনামে ছিলেন তিনি। হয়েছেন সমালোচিত। সরকারি চাল সরিয়ে ফেলা, ভাতার জন্য চাঁদা দাবি করা ও নিজের কার্যালয়ে হামলার নাটক সাজানোসহ নানা অভিযোগে বিতর্কিত ছিলেন আবুল কালাম আজাদ লায়েক।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা