বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, সাবেক এমপি এম নাসের রহমান বলেছেন, এই হাসিনা ভারতের পুতুল। তাকে ভারত যেভাবে নাচায় সেভাবেই নাচে। ভারতের দালালকে দেশবাসী এখন ঠিকই বুঝে গেছে। সে ভারতে পালিয়ে গিয়ে বলে ৫ আগস্ট নাকি দেশে আরও হানাহানি হতো সে জন্য নাকি দেশে ছেড়ে পালিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘কত বড় মিথ্যাচার, মিথ্যাবাদী। সে ক্ষমতা আকঁড়ে রাখার জন্যে শেষ সময় পর্যন্ত নির্বিচারে মুক্তিকামী ছাত্র জনতার ওপর গণহত্যার চালানোর নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু সেদিন তার নির্দেশনা দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী পালন করেনি। আগামী ২০২৫ সাল বাংলাদেশের রাজনীতির নতুন অধ্যায় সৃস্টি হবে। যেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যে দলটি গণহত্যকারী হিসেবে দেশবাসী চিহ্নিত করেছে। এদের কিছু থাকবে না। এ গণহত্যাকারী দলটি দীর্ঘদিন দেশের মানুষের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছিল। আওয়ামী লীগ কখনো জনগনের দল ছিল না। আওয়ামী লীগ ছিল পুলিশের দল,প্রশাসনের দল আর আদালতের দল৷’
শনিবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার পৌরসভা প্রাঙ্গণে আয়োজিত মৌলভীবাজার সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- প্রবাসী বিএনপি নেতা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়সল আহমেদ চৌধুরী।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, মোশাররফ হোসেন বাদশা, এম এ মুকিত, আশিক মোশাররফ, মোহাম্মদ হেলু মিয়া, ফখরুল ইসলাম, বকসী মিছবাহ উর রহমান, মতিন বকস, আব্দুর রহিম রিপন, মনোয়ার আহমেদ রহমান, স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরী, আবুল কালাম বেলাল, আনিসুজ্জামান বায়েছ, যুক্তরাজ্যস্থ জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি শাহ সাইফুল আখতার লিখন, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মারফ আহমেদ, পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব সরওয়ার মজুমদার ইমন প্রমূখ।
এদিকে কর্মী সমাবেশ যোগদিতে দুপুর ১২ টা থেকেই শহরে ও উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী জিয়া পরিবারের নামে স্লোগান টুপি ব্যানার নিয়ে কর্মী সমাবেশে মিছিল সহকারে যোগ দেয়। মূলত: কর্মী সমাবেশ টি জনসমাবেশ রুপান্তরিত হয়।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা