• ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশকে ৬০০ মিলিয়ন ইউরো দেবে জার্মানি

Daily Jugabheri
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
বাংলাদেশকে ৬০০ মিলিয়ন ইউরো দেবে জার্মানি

বাংলাদেশকে ৬০০ মিলিয়ন ইউরো দেবে জার্মানি ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জার্মান রাষ্ট্রদূত। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ঢাকাস্থ জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার বলেছেন, তার দেশ অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগকে সহায়তা করবে এবং বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য ৬০০ মিলিয়ন ইউরো দেবে।

জার্মান রাষ্ট্রদূত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তার দেশের এই সমর্থন ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক রয়েছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এক বিলিয়ন ইউরোর বেশি সহায়তা দিয়ে দেশের অন্যতম বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হয়ে উঠেছে।

ট্রস্টার বলেন, বাংলাদেশের প্রতি জার্মান সমর্থন হবে চাহিদা-চালিত। জার্মানি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য ৫০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য জার্মানি আট বছরের মধ্যে ৬০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দেবে।

‘এটি বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত কর্মসূচি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি যারা এই প্রকল্প সহায়তা পেয়েছে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস জার্মান নেতাদের সঙ্গে তার দীর্ঘ বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে বলেন, তিনি প্রায়ই বার্লিন প্রাচীর পতনের বার্ষিকীতে যোগ দিতেন।

তিনি বাংলাদেশে আরও জার্মান বিনিয়োগ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দক্ষতা ও প্রযুক্তি সহায়তা কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের জন্য প্রত্যাশার নতুন যুগের সূচনাকারী ছাত্র ও তরুণদের পেছনে জাতি ঐক্যবদ্ধ।

তিনি বলেন, ‘এখন আমাদেরকে তাদের আকাঙ্ক্ষার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। তাদের উদ্যোক্তা হতে সাহায্য করতে হবে। ’

নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং সবুজ পরিবর্তনের জন্য আরও বেসরকারি জার্মান তহবিল চেয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তার সরকার বাংলাদেশে জার্মান বিনিয়োগে যে কোনো বাধা দূর করতে আগ্রহী।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সংস্কার সম্পর্কে অবহিত করেন।

তিনি বলেন, জার্মানি ও বাংলাদেশের ফার্মগুলো গ্রিন করিডোর তৈরি করতে পারে।

এসময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ, ইআরডির অতিরিক্ত সচিব উত্তম কুমার কর্মকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজ এবং জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন জ্যান জানোস্কি উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন