যুগভেরী ডেস্ক ::: আবার সন্ত্রাসের পথে হাঁটলে বিএনপিকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি। দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তারা। বিএনপি আবারও সন্ত্রাসের পথে হাঁটলে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।
কামরুল ইসলাম আজ শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বিএনপি জামায়াত সন্ত্রাসীদের কুরুচিপূর্ন বক্তব্য, হত্যার হুমকি ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’-এই সভার আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিন।
বিএনপি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, আবার সন্ত্রাসের পথে হাঁটলে বিএনপিকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। আগামী জাতীয় নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে বিতাড়িত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেন, ‘বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা খুনি জিয়াউর রহমান একাত্তরের ঘাতকদের সাথে আতাত করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তির মদদে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। সেদিন হত্যাকান্ডের মূল নায়ক ছিলো জিয়াউর রহমান। এখন তাদের উত্তরসুরিরা আজকে স্লোগান দিচ্ছে পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, যারা জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে, তাদের উত্তরসুরিরাই দিচ্ছে এই ধরনের স্লোগান।
সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে বিএনপির উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হবে।’
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, একাত্তরের খুনি, পঁচাত্তরের খুনি ও ২১ আগস্টের খুনি-এরা এখন অভিন্ন শক্তি। এই খুনিদের বাংলাদেশের রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। তারা এখন দেশের আইনশ্ঙ্খৃলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর জন্য উস্কানিমুলক বক্তব্য দেয়, উস্কানিমুলক কথাবার্তা বলে।
তিনি বলেন, আজকে যখন বাংলাদেশে স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, তখন তারা শেখ হাসিনাকে হত্যার কথা বলছে। কি তাদের উদ্দেশ্য, কি তাদের লক্ষ্য? তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য একটাই, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের উন্নয়নের বিপক্ষে দাড়ানো। তারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির বিরুদ্ধে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ।
বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
ঢাকা, ৪ জুন, ২০২২ (বাসস)