গত ২৬/১০/২০২২ইং তারিখে সিলেটের স্থানীয় একটি দৈনিকের প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণে ‘‘দরিয়া শাহ মাজার ঘিরে মাদক-জুয়ার আসর’’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের একাংশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হযরত দরিয়া শাহ (রঃ) মাজার ও হযরত দরিয়াশাহ (রঃ) জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হযরত দরিয়া শাহ (রঃ) মাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রবীণ মুরব্বী হাজী সমরাজ মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো.মঈন উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হযরত দরিয়াশাহ (রঃ) জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির মোতায়াল্লী বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, ৪ ওলি হযরত সামালাল শাহ (রঃ), হযরত আবিদাল শাহ (রঃ),হযরত রহমত শাহ (রঃ) ও হযরত দরিয়া শাহ (রঃ) মাজার শরীফ সুরমা নদীর তীরে কদমতলী এলাকায় অবস্থিত।
৪ ওলির মাজারে প্রতি বছর বাৎসরিক পবিত্র ঔরুস মোবারক অনুষ্টিত হয়। মাজারের সাথে ২তলা জামে মসজিদ থাকায় এখানে স্থানীয় মুসল্লিগণসহ দেশের দুরদুরান্ত থেকে আগত ভক্ত আশেকানগণ নামাজ আদায় করে থাকেন। অথচ কে বা কারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে হযরত দরিয়া শাহ মাজার এর নাম ব্যবহার করে মিথ্যা বিভ্রান্তিকর সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করিয়েছে।
ঐ দৈনিক পত্রিকায় যেভাবে পবিত্র মাজার এলাকাকে জুয়া ও মাদকসেবীদের আস্তানা হিসেবে প্রকাশ করেছে, তা আদৌ সত্য নয়। পত্রিকায় হারুন নামের যে জুয়াড়ির কথা বলা হয়েছে, তার আস্তানা হযরত দরিয়া শাহ মাজার থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দুরে পূরাতন ফেরিঘাট এলাকার চায়না নামীয় কলোনীতে অবস্থিত।
অপরাধের আস্তানা থেকে মাজারের দুরত্ব অর্ধেক কিলোমিটার থাকা সত্তেও কদমতলীর ঐতিহ্যবাহী চার ওলির মাজারকে নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্যে প্রণোধিত অপপ্রচার চালানো হয়েছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
মাজার ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দরা প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, পূরাতন ফেরিঘাট এলাকার অপরাধের আন্তানা উচ্ছেদে প্রশাসনিক উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ জরুরী। সেই সাথে সরেজমিন অনুসন্ধান পূর্বক সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুসরণ করে সঠিক সংবাদ পরিবেশনের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।