দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি: বিএনপি-জামায়াত ঘোষিত অবরোধ চলাকালে গতকাল দক্ষিণ সুরমা কলেজ গেইটের সামনে ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ রাস্তা অবরোধ করলে পুলিশের সাথে তাদের এক সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় এসআই মইনুল হোসেন বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় ৮জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা সবাই সিলেট জেলার বাসিন্দা। তারা হলেন- দক্ষিণ সুরমা থানার ধরাধরপুর গ্রামের আলাওল আলীর পুত্র মোঃ মহসিন মিয়া, একই থানার তেতলী গ্রামের মৃত আহমদ আলীর পুত্র মোঃ দুদু মিয়া, মোগলাবাজার থানার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত দুদু মিয়া শিকদারের পুত্র সাইফুল ইসলাম শিকদার, দক্ষিণ সুরমা থানার মোমিনখলা গ্রামের আব্দুল কাদিরের পুত্র সেলিম আহমদ, একই থানার কুচাই গ্রামের সুরুজ মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ মোজাহিদ মিয়া, লাউয়াই গ্রামের মৃত বাহার মিয়ার পুত্র রাসেল আহমদ, হাজরাই গ্রামের হাজী আব্দুস শহীদের পুত্র রিয়াজুল ইসলাম ও খোজারখলা গ্রামের মৃত পঙ্খী মিয়ার পুত্র জাবের আহমদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপি-জামায়াত ঘোষিত অবরোধ চলাকালে গতকাল সিলেটের দক্ষিণ সুরমা কলেজের সামনে সকাল ১১টার দিকে ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ রাস্তা অবরোধ করে। এসময় নেতাকর্মীরা রাস্তায় টায়ার জালিয়ে রাস্তায় যানবাহন চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। গাড়ী ভাংচুর করে। এলাকায় আতংক নেমে আসে। তখন পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করলে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যায় এসআই মইনুল হোসেন বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে অভিযুক্ত করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে উক্ত মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ কোন কারণ ছাড়াই হামলা চালায়। এতে তাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এখন পুলিশ মামলা দিয়ে ঘরছাড়া করছে আমাদের।
এদিকে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হক শেখ জানান, উশৃঙ্খল ছাত্রদল নেতাকর্মীরা দক্ষিণ সুরমা কলেজের সামনে রাস্তা অবরোধ করে রাস্তায় টায়ার জালিয়ে গাড়ী ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে। পরে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করলে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। তবে আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।