
স্টাফ রিপোর্টার
দিন দিন সিলেটের গোলাপগঞ্জের ঢাকদক্ষিণে ক্ষমতাসীন দলের লাগামহীন অপতৎপরতা চলছে । কেউ দখল করছে জমি আরও কেউ কেউ টেন্ডারবাজি।
জমি দখলে কেউ আপন পরিবার আত্মীয়ের সম্পদ আত্মসাৎ করতেও দ্বিধা করে না। কিছুদিন আগে আমাদের রিপোর্টার প্রতিবেদন তৈরি করতে গেলে তাঁকে মারধর ও হেনস্থা করে । স্থানীয় প্রশাসনের বিষয়গুলো নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। থানা হোক, আর ইউনিয়ন পরিষদ হোক সবই নেতাদের কথায় চলে। লোকজন ভয়ে গ্রাম ছেড়ে শহরে যাচ্ছেন। তবুও তাদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। চাঁদা না হয় জমি যেটা তারা দাবি করেন, সেটি দিতেই হচ্ছে। না দিলে খুন অথবা গুম অথবা প্রশাসন দিয়ে মামলা করে হয়রানি করা হচ্ছে।
ঢাকাদক্ষিণের মাসুম আহমদ (নগর) তিনি বলেন, রেজাউর রহমান ও তার বাহিনী তাদের অনেক জমি অন্যায় ভাবে দখল করে রেখেছে। তিনি থানায় মামলা করতে গেলে থানা সেটি নেয়নি। পরে যখন রেজা বাহিনী জানতে পারে তিনি থানায় গিয়েছিলেন। তখন রেজা তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং তাকে ও তাঁর ভাই খালেদ আহমদকে মারধর করে।
তিনি আরও বলেন, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অনেকে এই গ্রুপের নেতৃত্ব দেয়। তাদের গ্যং অনেক বড়। তাই তারা মুহুর্তের মধ্যেই নিরীহদেরকে হেনস্থা করে। ঢাকাদক্ষিন বাজারের অনেক সরকারি ও খাস জায়গায় তাদের দখলে রয়েছে। অনেকে ভুক্তভোগী হলেও বেশিরভাগ লোকজন ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না । নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে কথা বলতে রাজি হন। রেজা বাহিনীর অত্যাচারে ৩ বিঘা জমি খোয়ানো এক ব্যক্তি বলেন, প্রথমে রেজা বাহিনী তাঁর কাছে ৪ লাখ টাকা দাবি করেছিল। কিন্তু তিনি কৃষি কাজ করে পরিবার চালান। তাঁর কাছে কোনো নগদ টাকা নেই। এজন্য রেজা বাহিনী তার প্রায় তিন বিঘা জমি দখলে নিয়ে নিয়েছেন।
আরেক ভুক্তভোগী বলেন, এলাকায় নিরপদে থাকার মতো পরিবেশ নেই। এজন্য তিনি স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের সিলেট শহরে ভাড়া বাড়িতে রাখেন। এলাকায় আসলে রেজা বাহিনীর অপতৎপরতায় টিকতে পারেন না। মাসে একাধিকবার বাড়িতে গিয়ে টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করবেন এমন হুমকি দেন। জানি না তাদের এমন নৈরাজ্য কতদিন চলবে ?
তিনি বলেন, এসব বিষয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দিতে গেলে উল্টো রেজা বাহিনীর কাছে তথ্য যায়। এরপর তাদের অত্যাচার ও নির্যাতন আরও বেড়ে যায়।
রেজাউর রহমানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ রয়েছে বলে জানালে গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আহাদ উল্টো অভিযোগকারীদের ভুয়া বলে আখ্যা দেন।