নদী হচ্ছে আমাদের জীবন্ত সত্তা; নদী ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারতে না। অপরিকল্পিত উন্নয়ন, দখল, দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন করে নদী মেরে ফেলছি আমরা। নদী মরে যাওয়ার প্রভাব আমাদের জীবন-জীবিকায় পড়বে। তাই নদীকে নদীর মত থাকতে দেওয়ার বিকল্প নেই। নদীর জীবনকে মানুষের মূল্যায়ন করতে হবে। তাছাড়া নদী বাঁচানো যাবে না।
মঙ্গলবার সিলেট শহরতলির খাদিমনগর এলাকার নাজিমগড় গার্ডেন রিসোর্টে সিলেট বিভাগীয় নদী বিষয়ক কর্মশালায় বক্তরা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) আয়োজিত কর্মশালায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীরা সিলেটের সারি নদী পরিদর্শন করেন।
কর্মশালার শুরুতেই নদী রক্ষায় বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেলার প্রধান নির্বাহী অ্যাড. সৈয়দা রিজিওয়ানা হাসান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেলা’র বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাড. শাহ সাহেদা আখতার ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক পিযুস কান্তি সরকার।
পরে কর্মশালায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের নদীগুলো নিয়ে দলীয় কাজ করেন অংশগ্রহণকারীরা। সমাপনী বক্তব্য রাখেন এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, মৎস্য অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক মোহাইমিনুল ইসলাম, সিলেটের সহকারী বন সংরক্ষক নজমুল আলম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের অতি. উপ-পরিচালক মো. আনিছুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম। প্রেস বিজ্ঞপ্তি