• ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

পুলিশের গুলিতে আহত বিএনপি নেতা আব্দুস সামাদ খানের মৃত্যু, দাফন সম্পন্ন

Daily Jugabheri
প্রকাশিত জানুয়ারি ৯, ২০১৫
পুলিশের গুলিতে আহত বিএনপি নেতা আব্দুস সামাদ খানের মৃত্যু, দাফন সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশের গুলিতে আহত গোলাপগঞ্জ আহত থানা বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুস সামাদ খান আজ দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে হাসপাতালে ভীড় জমান জেলা, মহানগরসহ সর্বস্তরের বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এদিকে, তার মৃত্যুর খবর পৌছামাত্র গোলাপগঞ্জে নেমে আসে শোকের ছায়া। তাৎক্ষণিক বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নাসিম হোসাইন তাৎক্ষণিক তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানান, এদেশে এখন কোন ন্যায় বিচার নেই। আওয়ামীলীগ তার সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রলীগ ও পুলিশকে দিয়ে দেশকে সন্ত্রাসের রাজ্যে পরিণত করেছে। এদেশে এখন কেউ নিরাপদ নয়। তারা আব্দুস সামাদ খানের মৃত্যুর শোককে শক্তিতে পরিণত করে স্বৈরাচার সরকারের বিরেুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বিকেল ৪টার দিকে মরদেহ গোলাপগঞ্জে নিয়ে গেলে প্রিয় নেতাকে ১ নজর দেখতে সেখানে ভীড় করেন দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। রাত ১১ টায় জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন করা হয়। জানাজায় সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবীতে সারাদেশ ব্যাপী বিএনপির অবরোধ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। শহরের চৌমুহনী এলাকায় পুলিশের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন থানা বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুস সামাদ খান। হাতে ও উরুতে গুরুতর জখমী নিয়ে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি ২ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন