• ১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৭ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে অপরাধ বাড়ছে, ধরা পড়ছে না কেউ!

Daily Jugabheri
প্রকাশিত জুন ১২, ২০১৭
সিলেটে অপরাধ বাড়ছে, ধরা পড়ছে না কেউ!

মোহাম্মদ আরাফাত সাঈদ :
সিলেটের অপরাধ দিন দিনই বেড়ে চলেছে। অনেক ক্ষেত্রে অপরাধের ঘটনার সুরাহাও করতে পারছে না পুলিশ, ধরা পড়ছে না অপরাধী। গত ৪ জুন ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম (৪২) হত্যাকাণ্ডের পর আট দিন পেরিয়ে গেলেও খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এক বছর পেরিয়ে গেলেও শহরতলীর খাদিম এলাকায় খুন হওয়া কিশোরের খুনিকে ধরা তো দূরের কথা, নিহত কিশোরেরই পরিচয় উদ্ধার করা যায়নি। মাস ছয়েক আগে ঐ কিশোরের হত্যারহস্য উদ্ঘাটনের দায়িত্ব পড়ে সিআইডির ওপর। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারাও এই কেসের কোনো কুল-কিনারা করতে পারেনি। তারা খুন হওয়া কিশোরের পরিচয় জানতে সর্বমহলের সহযোগিতা চেয়েছে। এদিকে আবার নগরে স্কুলছাত্রী অপহরণের একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
সূত্র মতে, পাচারকারী চক্র তাদের অপহরণ করে ভারতে নিষিদ্ধপল্লিতে পাচার করে দেয়। সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. লুত্ফর রহমান জানান, জৈন্তাপুরে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও অপহরণ চেষ্টার ঘটনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আটটি টিম মাঠে নামানো হয়েছে। তারা অপহরণকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে কাজ করছে। আশা করা যাচ্ছে এই চক্রকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে গত বুধবার কোম্পানীগঞ্জে অস্ত্রের মুখে এক পাথর ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ঐ ব্যবসায়ী ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ব্যবসায়ী বশির মিয়া জানান, ঐ রাতে পাথর বিক্রির দেড় লাখ টাকা নিয়ে অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে পাড়ুয়া সাকেরা এলাকায় পৌঁছালে ছিনতাইকারী দল তার গাড়ির গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে সঙ্গে থাকা টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ইদানিং সিলেট সীমান্তে নারী পাচারকারীদের তৎপরতাও বৃদ্ধি পাওয়ায় অভিভাবক মহলে উদ্বেগ বেড়েছে। স্কুলছাত্রীদের টার্গেট করে অপহরণ করছে একটি চক্র। এই চক্রে পুরুষ ও নারী সদস্য রয়েছে। চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করতে পুলিশের আটটি টিম মাঠে নেমেছে। অপহরণকারী চক্রের হাত থেকে কৌশলে ফিরে আসতে পেরেছেন জৈন্তা উপজেলার তিন ছাত্রী। কিন্তু জৈন্তার অপহৃত দুই ছাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি এখনো। এর মধ্যে এক জন ২০ মে ও অপর জন ২৯ মে নিখোঁজ হয়।
ভারত সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুর উপজেলায় অপহরণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত অভিভাবকরা। জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমদ বলেন, স্কুলছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন