যুগভেরী রিপোর্ট: দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুলে প্রতিপক্ষের হামলায় এক ছাত্রদল নেতা গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে দক্ষিণ সুরমা থানার অদূরে পিরিজপুর এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার জন্য প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগের নেতকর্মীদের দায়ী করেছে ছাত্রদল।
তবে, দক্ষিণ সুরমা ছাত্রলীগ এই হামলার দায় অস্বীকার করে বলেছে, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের অভ্যন্তরীন কোন্দলে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত ছাত্রদল নেতার নাম শাহ মোহাম্মদ মাসুম (১৯)। তিনি সিলেট মহানগরীর ২৫ নং ওয়ার্ড শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক।
দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানাধীন মোহাম্মদপুর গ্রামে তার বাড়ি। তার পিতার নাম শাহ মোহাম্মদ মকরম। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে শাহ মাসুমকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন সিলেট জেলা ছাত্রদল নেতা কোহিনুর আহমদ। ছাত্রলীগ কর্মীদের দায়ের কোপে মাসুমের বাম হাতের রগ কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কোহিনুর আহমদ জানান, শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবীর রোড থেকে ফেরার পথে পিরিজপুর এলাকায় উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয় গেইটের সামনে হামলার শিকার হন ২৫ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ মাসুম। ১০/১২ জন হামলাকারী মাসুমকে ধরে পিরিজপুরস্থ উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। তারা মাসুমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে চলে যায়। পরে, উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। গুরুতর আহত মাসুমকে নগরীর একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাসুমের বাম হাতের কব্জির রগ কেটে গেছে বলে জানান তিনি।
মাসুমের উপর হামলার জন্য দক্ষিণ সুরমা তেতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুল ইসলাম লাভলু ও তার সহযোগীদের দায়ী করেছেন কোহিনুর আহমদ। তিনি অভিযোগ করেন, ছাত্রদল নেতা শাহ মাসুম আহমদ ইতোপূর্বে দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের কার্যকরী কমিটির সদস্য ছিলেন। সে সময় ছাত্রলীগ নেতা লাভলু ছিল দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের নেতা।
তখন থেকেই লাভলু বার বার হুমকী দিয়ে আসছিল মাসুমকে। কোহিনুর আহমদ অভিযোগ করেন, মাসুমকে ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে সরে যাবার জন্য হুমকী দিয়েছিল লাভলু। কিন্তু, মাসুম তার এই হুমকীতে ভীত না হয়ে সিলেট মহানগর ছাত্রদলের ২৫ নং ওয়ার্ড শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় লাভলু ও তার সহযোগীরা মাসুমের উপর হামলা চালায়।
কোহিনুর আহমদ জানান, হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা লাভলুসহ অন্যান্যদের আসামী করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, তেতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুল ইসলাম লাভলু বলেন, আমরা শুনেছি ছাত্রদলের অভ্যন্তরীন কোন্দলের জেরে মাসুমের উপর হামলা করেছে তারই দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপ।
শাহ মোহাম্মদ মাসুম ছাত্রদলের কোহিনুর আহমদের নেতৃত্বাধীন গ্রুপের নেতা। তার সাথে দলের অভ্যন্তরীন আরেকটি গ্রুপের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর জেরেই মাসুমের উপর হামলা হয়েছে। তিনি বা তার দলের কেউ কোনরূপ হামলার সাথে জড়িত নয় বলে দাবী করেন লাভলু।