ছাতক প্রতিনিধি : ছাতকে গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে কর্তৃপক্ষের সাথে গ্রাহকদের সংঘর্ষে সিকিউরিটি গার্ড ইকবাল নিহতের ঘটনায় ছাতক থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল নিহতের ভাই নিয়াজুল ইসলাম বাদী হয়ে অভিযুক্ত ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন চয়ন বাদী হয়ে উক্ত ২৫ জনকেই অভিযুক্ত করে আরেকটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। উভয় মামলার আসামীরা হলেন- একরাম আলীর পুত্র সদর উদ্দিন, সদর উদ্দিনের পুত্র রাসেল আহমদ, মাও আবু আলী সিকন্দরের পুত্র মাশহুদ আহমদ, মৃত সামসুদ্দিনের পুত্র সিরাজুল হক, আফতাবুল আহমদের পুত্র নিতাব উদ্দিন, মাজহার আলীর পুত্র ছাবের আহমদ, করিমুল হকের পুত্র আহমেদ হোসেন নোমান, বাকি বিল্লাহর পুত্র মহসিন বিল্লাহ, আরিফ মিয়ার পুত্র আলম মিয়া, জুবের আহমদের পুত্র সাহেদ আহমদ, লায়েক বিল্লাহর পুত্র আরিফ বিল্লাহ, মোঃ সায়েক আহমদের পুত্র মোঃ কবির আহমদ, মৃত আব্দুল খালিকের পুত্র কামাল আহমদ ও মোঃ মনিরুল ইসলাম, আজমত আলীর পুত্র করিম উদ্দিন, লিয়াকত আলীর পুত্র রহিম উদ্দিন, মিজান আলীর পুত্র ফয়েজ উদ্দিন, আক্রম আলীর পুত্র আহসান আলী, মৃত আহমদ আলীর পুত্র নিয়াজ উদ্দিন, মৃত হাসিম আলীর পুত্র রায়হান আহমদ, রহমত আলীর পুত্র শাহাদত হোসেন, রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র আলী আক্কাস, মৃত নিজাম উদ্দিনের পুত্র আলা উদ্দিন, মৃত হাসু মিয়ার পুত্র আহসান মিয়া ও আরফান মিয়ার পুত্র জলিল মিয়া।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরও গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ করেনি ছাতকের গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী। গ্রাহকদের অভিযোগ রয়েছে যে, অফিসের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার দিলোয়ার হোসেন চয়ন নানা ধরনের টালবাহানা ও প্রতারনার আশ্রয় নেন। এতে ভূক্তভোগী গ্রাহকরা তাদের টাকা উদ্ধারের জন্য কোম্পানীতে ধর্না দিতে থাকেন। মামলার ১ নং আসামী সদর উদ্দিন তার টাকা উদ্ধারের দাবীতে ছাতকে সংবাদ সম্মেলন করেন। সদর উদ্দিন ও নিতাব উদ্দিনসহ একাধিক গ্রাহক থানায় জিডিও করেন। ভূক্তভোগী গ্রাহকরা স্থানীয় বাজারে মিছিল ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেও কোনো লাভ হয়নি। পরে গত ৭ জুলাই ভূক্তভোগী গ্রাহকরা তাদের টাকা উদ্ধারের জন্য ইন্স্যুরেন্স অফিসে গেলে কর্তৃপক্ষ তাদের বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা জোরপূর্বক অফিসে ঢুকতে চাইলে কর্তৃপক্ষের সাথে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। তখন গুরুতর আহত হন অফিসের সিকিউরিটি গার্ড ইকবাল। কিছুক্ষণ পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় গতকাল ৮ জুলাই হত্যা ও ডাকাতির অভিযোগ এনে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় উক্ত দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, এখনও কাউকে আটক করা হয়নি। তবে আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।