স্টাফ রিপোর্টার
গত রবিবার ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা থানাধীন জনমঙ্গল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে জানা যায় যে, গত ৩০/১২/২০১৮খ্রিঃ তারিখ সকাল ০৮:০০ ঘটিকা হইতে ভোট গ্রহন শুরু হয়। ভোট গ্রহন চলাকালীন সময় অনুমান ০৩:৩০ ঘটিকার সময় বিএনপি-ছাত্রদল ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা ধানের শীষ ধানের শীষ শ্লোগান দিয়া কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা করে। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য ও আনসার সদস্যগণ বাধা প্রদান করে তাদেরকে এহেন কার্যক্রম নিবৃত্ত করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা কেন্দ্রের মাঠে জোরপূর্বক প্রবেশ করিয়া ব্যালট বাক্স সহ নির্বাচনী অন্যান্য মালামাল ও উপকরণ ছিনাইয়া নেওয়ার চেষ্টার করে। পুলিশ বাঁধা প্রদান করিলে উশৃঙ্খল কয়েকটি ককটেল বোমার বিষ্ফোরণ ঘটায় এবং উপর্যুপুরি ইট পাটকেল নিক্ষেপ করিয়া ভোটারদের আতংক সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। তাৎক্ষনিক জরুরী সহায়তার জন্য বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে আশপাশ এলাকার মোবাইল ডিউটিতে নিয়োজিত পুলিশ অফিসার ও ফোর্সদের বার্তা প্রদান করা হয়। তাৎক্ষনিকভাবে মোবাইল-৪২ টিম ঘটনাস্থলে আসে। ঐ সময় আসামীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য কেন্দ্রে নিয়োজিত প্রিজাইডিং অফিসারের নির্দেশে নির্বাচনী ডিউটিতে নিয়োজিত কং/২৯৭ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর ইস্যুকৃত শর্টগান হইতে ০৩ টি রাবার কার্তুজ ও মোবাইল-৪২ ডিউটিতে থাকা কং/৫৫৯ মোখলেছ এর নামে ইস্যুকৃত শর্টগান হইতে ০৪ টি রাবার কার্তুজ সহ সর্বমোট ০৭ টি রাবার কার্তুজ ফায়ার করে উশৃঙ্খল বিবাদীদেরকে ছত্রভঙ্গ করা হয়। উক্ত সংঘর্ষে এএসআই(নিঃ) পলাশ চৌধুরী দিপন, আরও-১, পিওমএম, এসএমপি, সিলেট বাদীয় হয়ে মামলা দায়ের করেন। যাহা দক্ষিণ সুরমা থানার মামলা নং ০৫/০৫, তারিখ: ৩০/১২/২০১৮ ধারা-১৪৭/১৪৮/১৮৬/৩৫৩/৩০৭ পেনাল কোড তৎসহ ১৯০৮ সনের বিস্ফোরক উপাদানাবলী আইনের ৩/৬, জি.আর-২৪০/১৮।