বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : বিয়ানীবাজারে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া নিহত হয়েছেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে বিয়ানীবাজারের কাজিরবাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে জাকারিয়ার পিতা বিয়ানীবাজার থানায় ১টি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ রাতে ১ জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে। তার নাম আব্দুল হান্নান। তিনি ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের সাখাওয়াত আলীর পুত্র।
গত ১৮ মার্চ বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম পল্লব জয়ী হন। তবে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আতাউর রহমান খাঁন পরাজিত হন। গতকাল কাজির বাজারে বিজয় মিছিল বের করেন আবুল কাশেম পল্লব এর সমর্থকরা। এসময় নির্বাচনে পরাজিত আতাউর রহমান খাঁনের সর্থকদের (সমর্থকদের) সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল ১১টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এলাকায় আতংক দেখা দেয়। বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রাতে জাকারিয়ার পিতা বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা ১০ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো অন্তত ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। আসামীরা হলেন- আকাখাজানা গ্রামের আবু জাহিদের আবু তাহের, ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের সাখাওয়াত আলীর পুত্র আব্দুল আলীম ও আব্দুল হান্নান, খশিরবন্দ গ্রামের জায়েদুর রহমানের পুত্র ছাইদুর রহমান, গোবিন্দশ্রী গ্রামের রহিম উদ্দিনের পুত্র মো. ফয়ছল উদ্দিন, আকাখাজানা গ্রামের ফখরুল ইসলামের পুত্র রাফি, গোবিন্দশ্রী গ্রামের বাসিন্দা সুলেমান আহমদ রিপনের পুত্র সাহেল আহমদ, খশিরবন্দ গ্রামের আরজু মিয়ার পুত্র সাইফুল্লাহ হাসান, গোবিন্দশ্রী গ্রামের আতিক মিয়ার পুত্র সাইফুর রহমান ও উত্তর আকাখাজানা গ্রামের কুতুব মিয়ার পুত্র মুমিন আহমদ।
এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। আসামী আব্দুল হান্নানকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্যদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকায় বিপুল পরিমান পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।