• ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

দক্ষিণ সুরমায় ছাত্রশিবির নেতার বাড়িতে গিয়ে ছাত্রলীগের হুমকি ধামকি

Daily Jugabheri
প্রকাশিত জুন ১৩, ২০১৯
দক্ষিণ সুরমায় ছাত্রশিবির নেতার বাড়িতে গিয়ে ছাত্রলীগের হুমকি ধামকি

দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি : দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার উলালমহল গ্রামে ছাত্রশিবির নেতা মাশুদ আহমদের বাড়িতে গিয়ে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ভীতসন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়েছেন মাশুদ আহমদ ও তার পরিবারের লোকজন। ছাত্রলীগ ক্যাডারদের এমন কর্মকান্ডে বাধা দিতে গেলে মাশুদ আহমদের বাবা মো: ফাতির আলীকেও তারা গালিগালাজসহ হুমকি প্রদান করে।  প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ১০টার দিকে দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানার উলালমহল গ্রামে ছাত্রলীগের সোহাগ-উজ্জল গ্রুপের অন্তত ১০/১৫ জন নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রশিবির নেতা মাশুদ আহমদের বাড়িতে যায়। এসময় তারা জোরপূর্বক বাড়িতে প্রবেশ করে মাশুদ আহমদকে খুঁজতে থাকে। তখন মাশুদ বেরিয়ে এলে তাকে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ছাত্রশিবিরের রাজনীতি ছেড়ে ছাত্রলীগে যোগদানের জন্য ১ সপ্তাহ সময় বেধে দেয়। ছাত্রলীগে যোগদান না করলে প্রাণনাশের হুমকিসহ নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখায় তারা। এসময় মাশুদ আহমদরে পিতা মো: ফাতির আলী তাদের এমন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা তাকেও নানা ধরনের হুমকি ধামকি প্রদান করে। ‘ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করে এদেশে প্রাণে বাঁচতে পারবেনা’- এমন ধামকি দিয়ে তারা চলে যায়।
এমন ঘটনায় ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন মাশুদ আহমদের মা-বাবাসহ স্বজনরা। এবিষয়ে ছাত্রশিবির নেতা ও সিলেট সরকারি কলেজের ছাত্র মাশুদ আহমদ জানান, রাজনৈতিক মতবিরোধের জের ধরে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ-উজ্জল গ্রুপের ক্যডাররা তাকে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। সোহাগ-উজ্জলও সরকারি কলেজের ছাত্র। ছাত্রশিবির ছেড়ে ছাত্রলীগে যোগদান করার জন্য তাকে নানা ধরনের চাপ প্রয়োগ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা তার বাড়িতে গিয়ে তাকে ও তার বাবাকে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিয়েছে। এমতাবস্থায় গোটা পরিবারের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
এদিকে, মাশুদ আহমদের বাবা মো: ফাতির আলী অভিযোগ করেন, এ বিষয়ে তিনি থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানা অভিযোগ গ্রহণ করে না। এমতাবস্থায় তিনি কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। পুত্রের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বড়ই উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলী মাহমুদের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, তারা এ বিষয়ে তারা কিছইু জানে না। কেউ অভিযোগও নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন