বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি
বিয়ানীবাজার উপজেলার দাসউরা (রজব) এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে ছাত্রদল কর্মী হাবিবুর রহমান আহত হয়েছেন। গত বুধবার (১৭ জুলাই ২০১৯) সন্ধ্যারাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। আহত হাবিবুরকে বিয়ানীবাজার উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা চলাকালীন অজানা কারণে হাসপাতাল থেকে তিনি পালিয়ে যান বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিয়ানীবাজার থানার ওসি অবনি শংকর জানান, হাবিবুর এর নামে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই মামলা থেকে পালাতেই তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন।
এদিকে, হাবিবুর এর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চাচাদের সাথে জায়গা সংক্রান্ত বিরোদের জেরে এই মামলা করা হয়েছে। গত ১৫ জুলাই জায়গা নিয়ে চলা সালিশ মীমাংসার বৈঠক শেষে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে হাবিবুর এর দাদা ইলাস আলী মধ্যখানে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা ও হাবিবুর এর চাচা হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে পিতা হত্যার দায়ে ভাতিজা হাবিবুর রহমানকে আসামী করে মামলা করেন।
ইলাস আলীর ঘটনার জেরেই চাচারা হাবিবকে খুনের উদ্দেশ্যে হামলা করেছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
তবে এই হামলার ঘটনায় থানায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।
আহত হাবিবুর দাসউরা রজব গ্রামের বিএনপি নেতা মো মাহবুবুর রহমানের ছোট ছেলে। হাবিব বিয়ানীবাজার কলেজে পড়ালেখা করেন ও ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত।
হাবিবুর এর উপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন বিয়ানীবাজার কলেজ ছাত্রদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এক বিবৃতিতে তারা, এই ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি করেন।