বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : সিলেট জেলার বিয়ানীবাজারে ‘সুলভ ভেরাইটিজ স্টোর’ নামের মোদির দোকানে হামলা, ভাংচুর লুটপাট করেছে সন্ত্রাসীরা। হামলাকারীরা স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা পল্লব গ্রুপের লোক বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় আহত হয়েছেন দোকানের স্বত্তাধিকারী তাপাদার মোঃ আব্দুল লতিফের ছেলে তাপাদার জাহেদ আহমদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিয়ানীবাজারের ছোটদেশ গ্রামের বাসিন্দা তাপাদার মোঃ আব্দুল লতিফের মালিকানাধীন ‘সুলভ ভেরাইটিজ স্টোর’ নামক মোদির দোকানে গতকাল বিকেল ৩টার দিকে আওয়ামীলীগ নেতা প্রল্লব গ্রুপের বেলাল, কাদির, মাসুম ও কামরুলসহ কয়েকজন ক্যাডার হামলা ও ভাংচুর করে। এসময় তারা তাপাদার জাহেদ আহমদকে মারধর করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা দোকানে লুটপাট করে হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে দোকানের স্বত্তাধিকারী তাপাদার মোঃ আব্দুল লতিফ জানান, তার ভাই বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক হোসেন আহমদের নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়। তিনি জানান, অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করে তিনি তার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ১৫ শতক ভূমির উপর ‘সুলভ ভেরাইটিজ স্টোর’ নামের এই দোকানটি প্রতিষ্টিত করেছেন। তিলে তিলে তিনি এ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তার উপার্জনের গুরুত্বপূর্ণ সম্বল এটি। কিন্তু তার ভাই হোসেন আহমদ আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা। তিনি ক্ষমতার প্রভাব ও আধিপত্য দেখিয়ে দোকানটি তাকে দিয়ে দেবার জন্য প্রস্তাব দেন। এতে তাপাদার মোঃ আব্দুল লতিফ রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক দোকান দখলে নেয়ার জন্য নানা পায়তারা করে আসছেন। হুমকি ধামকিও দিচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তার নির্দেশে পল্লব গ্রুপের সন্ত্রাসীরা দোকানে এসে ২০ হাজার টাকা চাদা দাবী করে। এসময় তার পুত্র তাপাদার জাহেদ আহমদ চাদা দিতে অসম্মতি জানালে সন্ত্রাসীরা তাকে প্রাণে হত্যার হুমকি প্রদান করে এবং বেধড়ক মারধর করে। পরে সন্ত্রাসীরা দোকানে ভাংচুর, হামলা চালায় এবং দোকানের ক্যাশ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। স্থানীয় প্রশাসনকে ঘটনাটি অবহিত করলেও তারা কোন প্রতিকার করছে না। এমনকি এ বিষয়ে অভিযোগ করতে থানায় গেলে পুলিশ তা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করে।
তিনি আরও জানান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক হোসেন আহমদের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ নেতা পল্লব গ্রুপের সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া। চাদাবাজী, লুটপাট, হত্যাসহ যে কোনো অপরাধ তাদের পক্ষেই সম্ভব। আর এসবের কোনো বিচার নেই। কথা বলার সাহসও নেই। সম্পত্তি ও তার ৫ পুত্রের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে বড়ই অসহায় হয়ে পড়েছেন বলে জানান তাপাদার মোঃ আব্দুল লতিফ।
এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। কেউ তাদের কাছে কোন অভিযোগও নিয়ে আসেনি। কারো পারিবারিক দন্দ্ব নিয়ে মাথা ঘামাবার সময় নেই পুলিশের। তবে কেউ অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।