• ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

নিখোঁজের ৭দিন পর মুমুর্ষ অবস্থায় শিক্ষার্থী মারজানকে উদ্ধার

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
নিখোঁজের ৭দিন পর মুমুর্ষ অবস্থায় শিক্ষার্থী মারজানকে উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার: নিখোঁজের ৭দিন পর সিলেটের স্কলার হোমের মেধাবি শিক্ষার্থী তাহসিন আহমদ মারজানকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল ২৫-১২-২০১৯ ইংরেজী তারিখ সিলেট শহরতলীর আলুরতল এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। ভিকটিম শিক্ষার্থীর তাহসিন আহমদ মারজান (১৯) মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার মোহাম্মদ নগর গ্রামের হাজী সফর উদ্দীনের পুত্র। মারজান সিলেটের স্বনামধন্য বিদ্যাপিট স্কলারস হোমের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্ভর সিলেট শহরের টিলাগড় পয়েন্টসংলগ্ন এলাকা থেকে তাহসিন আহমদ মারজানকে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে একদল দুর্বৃত্ত অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এর পর থেকে মারজানের কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না তার পরিবারের লোকজন। কে বা কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তা সঠিকভাবে কেউ বলতে না পারলেও ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতা জেরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন এই ঘটনার সাথে জড়িত। মারজানকে উদ্দারের পর সিলেটের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উদ্ধারের ৯ ঘন্টা পর চিকিৎসাধীন মারজান ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে এই প্রতিবেদককে জানান, ঘটনার দিন বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে তিনি স্কলারহোম স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে টিলাগড় পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায় রিক্সার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তখন একটি প্রাইভেট কার এসে তার সামনে দাড়াঁয়, ওই গাড়ি থেকে মুখোশপড়া কয়েকজন যুবক নেমে তাকে টেনে হেচড়ে গাড়িতে তোলে মুখে কাপড় চেপে ধরে এবং মাথার কাছে পিস্তল ঠেকিয়ে রাখে এবং বেধড়ক কিলঘুষি মারতে থাকে। গাড়ির পা রাখার স্থানে তাকে শুইয়ে রাখে। এমতাবস্থায় সন্ধা ঘনিয়ে আসলে একটি মাঠে নিয়ে যায় তাকে যেখানে শ্রমিকরা মাটি কাটার কাজ করছিল। পরিত্যক্ত একটি ঘরে তাকে রাতে থাকতে দেয়। কোনো খাবার দেয়া হয়নি শুধুমাত্র খাবার পানি দিতো। মারজান তাদের কাউকে চিনতে পারেনি। ওই বাড়িতেই তাকে ৭দিন রাখা হয়। ঘটনার বর্ননা দিতে গিয়ে মারজান জানায়, আটককারীরা তাকে প্রায়ই শরিরের বিভিন্ন জায়গায় বেধড়ক মারপিট করতো। । চেচামেচি করলে মেরে ফেলারও হুমকি দিতো। ২৫ ডিসেম্ভর ভোরবেলা মারজান এক ট্রাক চালকের সহায়তায় জিম্মী দশা থেকে পালিয়ে আসে। তাহসিন আহমদ মারজানের পিতা সফর উদ্দীন জানান, তাহসিনের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি শংকিত। এ আগেও তার উপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। তিনি বলেন, গত ১৯ ডিসেম্ভর তার ছেলে মারজান স্কুল থেকে বাসায় না ফেরায় অনেক খোঁজাখুজির পর তার সন্ধান না পেয়ে সিলেট শাহপরান থানায় একটি সাধারণ ডাযেরী (জিডি এন্ট্রি ) করেন। যার নম্বর ১২২,তারিখ ২০-১২-২০১৯ ইংরেজী।

সংবাদটি শেয়ার করুন